মেলবোর্ন: সকালে নেদারল্যান্ডসের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা হেরে যাওয়ায় এমসিজির রবিবারের ম্যাচ পরিণত হয়েছিল ডেড রাবারে। ম্যাচের আগেই ভারত গ্রুপ শীর্ষে থেকে শেষ চারে পা রেখেছিল। কিন্তু ভারত যখন ১৩.৩ ওভারে ১০১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল, তখন এই ম্যাচ বেশ জমে গিয়েছিল। আরেকটা অঘটনের গন্ধ যখন এমসিজির ৮৮ হাজার দর্শক পেতে শুরু করেছেন, তখনই সূর্য কুমার যাদব ২৫ বলে ৬১ নট আউট থেকে ভারতের (India vs Zimbabwe) জয়ের রাস্তা তৈরি করে দেন। পরে অশ্বিন ২২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সেই জয়কেই বাস্তবায়িত করলেন। ৭১ রানে জিতে ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের খেলা শেষ করল ভারত। সেমিফাইনালে ভারতের সামনে ইংল্যান্ড।
২০ ওভারে ১৮৭ বেশ বড় টার্গেট ছিল ক্রেগ আরভিনদের কাছে। আরভিন আগেরদিন বলেছিলেন, তাঁরা ভারতকে হারাবেন। সেজন্য কোহলির কাছে আগাম ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু লড়াইয়ের ছিঁটেফোটাও দেখাতে পারেনি আফ্রিকার দল। একটা সময় ৩৬ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসেছিল জিম্বাবোয়ে। এরপর ৬০ রানের পার্টনারশিপ খেলে দলকে ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিলেন সিকান্দার রাজা আর রায়ান বুর্ল। শেষমেশ অশ্বিন বুর্লকে (৩৫) ফিরিয়ে দেন। রাজাকে (৩৪) ফেরান হার্দিক। এরপর জিম্বাবোয়ের ইনিংসে এমন কেউ ছিল না যে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। শেষমেশ ১৭.২ ওভারে তাদের ইনিংস শেষ হয়ে গেল ১১৫ রানে। ভারত জিতল ৭১ রানে। অশ্বিনের তিন উইকেটের পাশে দুটি করে উইকেট হার্দিক ও শামির।
আরও পড়ুন-দশজনে খেলেও ২-২ মোহনবাগানের
এই ম্যাচে ভারতীয় (India vs Zimbabwe) টিম ম্যানেজমেন্ট ঋষভ পন্থকে ফিরিয়ে এনেছিল। এবারের বিশ্বকাপে এটাই তাঁর প্রথম ম্যাচ। কিন্তু ৫ বলে ৩ রান করে উইলিয়ামসকে উইকেট দিয়ে যান দিল্লির বাঁ হাতি। রোহিত টসে জিতে আগে ব্যাটিং নিয়েছিলেন ব্যাটসম্যানদের সেমিফাইনালের আগে ২২ গজে কাটানোর সুযোগ করে নিতে। কিন্তু টপ অর্ডারে রাহুল ও সূর্য ছাড়া আর কেউ এমসিজির বোলার ফ্রেন্ডলি উিকেটে সুবিধা করতে পারেননি। রোহিত (১৫) আরও একটা ম্যাচে ব্যর্থ হলেন। বিরাট যখন বড় রানের দিকে এগোচ্ছেন তখনই ২৫ বলে ২৬ রান করে উইলিয়ামসকে উইকেট দিয়ে গেলেন। হার্দিকও নাগারাভার বলে ফিরে গিয়েছেন ১৮ রানে। রোহিত-বিরাট রান পেলে ভারতের স্কোর দুশো ছাড়িয়ে যেত।
এদিন হার্দিক ও সূর্যর জুটিতে ৬৫ রান যোগ হয়েছে। যার সিংহভাগ রান এসেছে সূর্যর ব্যাট থেকে। অবিশ্বাস্য সব শট নিলেন সূর্য। ২৫ বলের ইনিংসে সূর্য ছ‘টি চার ও চারটি ছক্কা মেরেছেন। তাঁর জন্যই ভারতের রান ১৮৬-৫-এ গিয়েছে। তা না হলে একটা সময় দেড়শো হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। তবে জিম্বাবোয়ে দলটার মধ্যে সবথেকে বড় অভাব হল ধারাবাহিকতা। এই দলকেই কে এল রাহুলের নেতৃত্বাধীন ভারত তাদের দেশে হারিয়ে এসেছে। এমসিজিতেও জিম্বাবোয়ে কোনও লড়াই দিতে পারেনি।