প্রতিবেদন : দেশে আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ অব্যাহত থাকবে। সুপ্রিম কোর্ট সোমবার সংরক্ষণ বহাল রাখার পক্ষেই রায় দিল। তবে এই রায় সর্বসম্মত নয়। সর্বোচ্চ আদালতের ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে এই বিষয়ে শুনানির পর ৩ জন বিচারপতি আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সংরক্ষণ সিদ্ধান্তের পক্ষে মত দেন। বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী, বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা সংরক্ষণের পক্ষে মত দেন কিন্তু প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত এবং বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট ভিন্নমত পোষণ করেন। প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছিল।
আরও পড়ুন-ঋষভেই আস্থা ফিরছে দলের, সেমিফাইনালেও সম্ভবত বাইরে কার্তিক
এদিন রায় দিতে সর্বোচ্চ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানায়, এই নিয়ম সমাজে কোনও বৈষম্য তৈরি করছে না। এই নিয়ম সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিপন্থীও নয়। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় সরকার এক সংশোধনীর মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের নিয়ম চালু করেছিল। সরকারের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। সর্বোচ্চ আদালত এদিন সংবিধানের ১০৩ তম সংশোধনী বহাল রেখেছে। বেঞ্চ জানিয়েছে, সমাজে পিছিয়ে পড়াদের ক্ষমতায়নের একটা মাধ্যম হল সংরক্ষণ ব্যবস্থা। হতদরিদ্রদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলে তা সংবিধানের মূল কাঠামোয় কোনও ভাবে আঘাত করে না। কারণ দেশের সংবিধান সমাজের কাউকে বাদ দিয়ে চলার কথা বলে না। সবাইকে নিয়ে চলার কথাই বলে। তা ছাড়া আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়াদের যেভাবে সংরক্ষণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে তাতে ৫০ শতাংশের বেশি পদ সংরক্ষিত হবে না। তাই অর্থনৈতিক ভিত্তিতে সংরক্ষণ অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন-সানির আশা, রোহিত এবার রান করবেন
শীর্ষ আদালতের এই রায়কে ঐতিহাসিক বলে মনে করছে তথ্যভিজ্ঞ মহল। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ১০৩তম সংবিধান সংশোধন করে আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণিদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিল আনে কেন্দ্র। সংসদের দুই কক্ষেই এই বিল বিনা বাধায় পাশ হয়। কিন্তু বিল পাশের কিছুদিন পরই মামলা দায়ের করা হয়। প্রায় চার বছর শুনানি চলার পর সেপ্টেম্বর মাসে শুনানি শেষ হয়। এদিন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় ঘোষণা করল। প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতি ললিত ৮ নভেম্বর অবসর নেবেন।