প্রতিবেদন : কয়েকদিন আগে সব রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের এক সভায় ভাষণ দেওয়ার সময়, বন্দুক হোক বা কলমধারী, সব ধরনের নকশালবাদ নির্মূল করার উপর জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী ওই বক্তব্যের পর মাওবাদীদের শহুরে নেটওয়ার্কের মেরুদণ্ড ভাঙার বিশেষ প্রস্তুতি চলছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। কেন্দ্রীয় সরকার গোয়েন্দা বাহিনী-সহ দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত সব বাহিনীকে রাজ্য পুলিশ বাহিনীর সহায়তায় শহুরে নকশাল দমনে বিশেষ অভিযান চালাতে নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এক গোপন নির্দেশিকায় নিরাপত্তা বাহিনীকে মাওবাদী কৌশলবিদ এবং তাদের সমর্থকদের শহুরে নেটওয়ার্ক শনাক্ত করতে এবং তাদের দমন করতে বলেছে।
আরও পড়ুন-জলের পরিবর্তে মদ খান, পরামর্শ বিজেপি সাংসদের!
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক নিজের পরিচয় গোপন করে জানিয়েছেন, কিছু এনজিও বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং নাগরিক অধিকার সংগঠনও সরকারের নজরে রয়েছে। উল্লেখ্য, হরিয়ানার সুরজকুণ্ডে সব রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ কর্তাদের দু’দিনের বৈঠকের আগেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের পেশ করা রিপোর্ট থেকে জানা যায়, বেশ কয়েকজন শহুরে মাওবাদী এবং তাদের সমর্থকরা বিভিন্ন শহরে সক্রিয়। আত্মগোপনকারী সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সমর্থন দিচ্ছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্টে বিভিন্ন শহরে বেশ কিছু শহুরে মাওবাদীদের উপস্থিতির কথাও জানানো হয়েছে। ওই শহুরে মাওবাদীরাই আত্মগোপনকারী নকশালদের সহায়তা দিচ্ছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন-ভোট আসতেই সিএএ নাটক মোদির
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মাওবাদী ফ্রন্ট সংগঠনগুলি কয়েকটি শহরে কীভাবে কাজ করছে গোয়েন্দা রিপোর্টে তা জানা গিয়েছে। এই ধরনের ফ্রন্টাল সংগঠনগুলি এনজিও এবং নাগরিক অধিকার সংগঠনের ছদ্মবেশে কাজ করে এবং মাওবাদীদের সমর্থন জোগায়। তারা শিক্ষিত যুবকদের আন্দোলনের পথে নিয়ে আসে। তাই এনজিও এবং নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলির উপরেও নজর রয়েছে কেন্দ্রের।