প্রতিবেদন : ছ’বছর আগে গভীর রাতের নোটবন্দির নাটক নরেন্দ্র মোদির। ২০২২-এর ব্যালেন্সশিট চোখে আঙুল দিয়ে দিচ্ছে মোদি সরকার শুধু ব্যর্থ নয়, সুপার ফ্লপ। ভারত সরকারের দেওয়া তথ্যই বলছে, এই ছ’বছরে দেশে নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ৭১ শতাংশ। বিজেপি সরকার বিগত ৬ বছরে নোটবন্দির নামে যে অশ্বডিম্ব প্রসব করেছে তা বলছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। নোটবন্দির উদ্দেশ্য কী ছিল? প্রধানমন্ত্রী বড় মুখ করে গভীর রাতে বলেছিলেন, অর্থনীতি দুর্নীতি রোধ করা প্রথম উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন-চৈতন্যভূমে মুখ্যমন্ত্রী,পঞ্চায়েতের আগে বার্তা
দ্বিতীয় উদ্দেশ্য, নগদ অর্থ না থাকলে সন্ত্রাসবাদ দানা বাঁধতে পারবে না। এবং তৃতীয় উদ্দেশ্য নয় প্রতিশ্রুতি ছিল, বিদেশ থেকে কালো টাকা ফিরিয়ে আনা হবে। তথ্য কী বলছে? বলছে, দেশে অর্থনৈতিক দুর্নীতি বেড়েছে। দেশের ব্যাঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করে সরকার ঘনিষ্ঠরা বিদেশে সম্মানের সঙ্গে ঘোরাফেরা করছেন। তাঁদের ফিরিয়ে আনার কোনও উদ্যোগই নেই কেন্দ্রের। সন্ত্রাসবাদ বেড়েছে। কাশ্মীরে প্রতি বছর বাজেট বরাদ্দ বাড়ছে, সেনা সংখ্যাও। সন্ত্রাসবাদ এখনও কাশ্মীরের দৈনিক সমস্যা। বিদেশের কালো টাকা মূলত সুইস ব্যাঙ্কের টাকা দেশে ফেরানো দূরে থাক, সরকারের দেওয়া তথ্যই বলছে, স্যুইস ব্যাঙ্কে গোপন অ্যাকাউন্টে ভারতীয়দের টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন-ফোর্বসে বাংলার সোমা
আরবিআই বলছে, নভেম্বরের শুরু ভারতীয় নাগরিকদের হাতে প্রায় ৩১ লক্ষ কোটি টাকা। মোদির নোটবন্দির ছ’বছর নগদের পরিমাণ বৃদ্ধি ৭১.৮৪ শতাংশ। আর্থিক পরিস্থিতি আরও জোরাল হবে নোটবন্দির রাতে প্রতিশ্রুতি ছিল। বাস্তব বলছে ডলারের দাম টাকার নিরিখে আকাশ ছুঁয়েছে। পেট্রোল-ডিজেল সর্বকালীন রেকর্ড করেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আকাশছোঁয়া। এই মুহূর্তে পেঁয়াজের দাম হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা তাই বলেছেন, মোদির ক্যাশলেস ইকনমির গল্প আসলে টোটাল ভাঁওতা। প্রধানমন্ত্রী যা বলছেন তা জুমলা।