মণীশ কীর্তনিয়া, নন্দীগ্রাম: আজ বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে শহিদ-তর্পণ (Shahid-Tarpan- TMC) করবে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর সূর্যোদয়ের নামে সিপিএমের হার্মাদরা গ্রামবাসীদের ওপর হামলা চালায়। শহিদ হন ৩৫ জনেরও বেশি গ্রামবাসী। এখনও নিখোঁজ ৮ জন। এই ঘটনার পর থেকে প্রতি বছর নিয়ম করে শহিদ-তর্পণ করে দল। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে ও নন্দীগ্রাম ১নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির আয়োজনে এই শহিদ-তর্পণ হবে। নন্দীগ্রামের সর্বস্তরের নেতৃত্ব ও কর্মীরা উপস্থিত থাকবেন, উপস্থিত হবেন জেলা নেতৃত্বও। থাকবেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষও।
সিদ্ধান্ত হয়েছে, আজ, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত গোকুলনগরের করপল্লিতে শহিদ-তর্পণ করবে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপরে করবে বিজেপি। এই করপল্লিরই বাসিন্দা শ্যামলী মান্না ও রেজাউল করিম শহিদ হয়েছেন। নন্দীগ্রাম ১নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, সকাল ১০টা থেকেই আমরা আমাদের শহিদ তর্পণের কর্মসূচি শুরু করব। ২০০৭-এর এই দিনে ঠিক সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সিপিএমের হার্মাদরা গুলি চালিয়ে গ্রামবাসীদের মৃত্যুমুখে ঠেলে দেয়। সেই সময়টাকে মাথায় রেখেই ১০টা ২০-তে শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানাবেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানাতে থাকছে কীর্তনের ব্যবস্থা। এ-ছাড়া আরও বেশ কিছু কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-শহিদ তর্পণের আগেই নন্দীগ্রামে ফের ধাক্কা শুভেন্দুর, ভেকুটিয়ায় বিদ্রোহ আদি বিজেপি নেতাদের
শহিদ তর্পণকে (Shahid-Tarpan- TMC) ঘিরে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে প্রবল চাপে পড়েছে বিজেপি শিবির। জয়দেব দাসের নেতৃত্বে ৩২ জন পদাধিকারী বিজেপি ছেড়ে এসেছে। ১ জন আসেনি। এরা সবাই আজ শহিদ তর্পণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে। স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দুর সঙ্গে স্থানীয় কোনও নেতা-কর্মী নেই। তাঁকে বাইরে থেকে লোক আনতে হবে। বিজেপি শিবির বলছে বটকৃষ্ণ দাস তাঁদের সঙ্গে আছে। এদিকে বটকৃষ্ণ তৃণমূলকে বার্তা পাঠাচ্ছে, কিছু কারণে আমাকে এখন বিজেপির সঙ্গে থাকতে হলেও মনে প্রাণে আমি তৃণমূল কংগ্রেসেই আছি।