প্রতিবেদন : পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের পদ্মপুকুর এলাকার উত্তম উদ্যানে হিন্দিভাষী মানুষদের মুখোমুখি হলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনে ভবনীপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী খোদ মুখ্যমন্ত্রী। ভবানীপুর বিধানসভা এলাকায় বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে হিন্দিভাষী ভোটারদের প্রভাব যথেষ্ট।
যদিও এদিন উত্তম উদ্যানে সরাসরি ভোট প্রচারে নামেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরং, এলাকার হিন্দিভাষীদের সঙ্গে সরাসরি জনসংযোগ করলেন তিনি। মূলত, ভবানীপরে শিখ, জৈন, গুজরাতি, মারাঠিসহ হিন্দিভাষী মানুষেরও তিনি ঘরের মেয়ে সেই বার্তাই দেন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘদিন তিনি দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ ছিলেন, ভবানীপুরে এর আগে দু’বার বিধায়কও ছিলেন তিনি। তাই এখানে তিনি বাঙালি, অবাঙালি বিভাজন করেননি। তিনি বা তাঁর দল বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না। তাঁর কাছে সকলে সমান। তিনি সকলের জন্য কাজ করেছেন। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে আপ্লুত এলাকার হিন্দিভাষী মানুষও। তাঁদের শরীরী ভাষায় স্পষ্ট, ৩০ সেপ্টেম্বর ঘরের মেয়ে মমতাকেই সমর্থন করবেন তাঁরা। এবং রেকর্ড মার্জিনে মুখ্যমন্ত্রীকে জেতাবেন। সব মিলিয়ে এদিনের চিত্রটা ছিল, “নানা ভাষা নানা মতো নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান।”! এ যেন একটি মিনি ইন্ডিয়া।
আরও পড়ুন : শয্যাশায়ী ৮০ বছরের বৃদ্ধার বাড়িতে রেশন নিয়ে পৌঁছালেন জেলা শাসক
এদিনের এই ববৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রের সভাপতি তথা রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার, তৃণমূলের শাখা সংগঠন জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়, জোড়াসাঁকোর তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্তা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়-সহ ভবানীপুর বিধানসভার অন্তর্গত কলকাতা পুরসভার সমস্ত ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটররা।
আরও পড়ুন : কেশিয়াড়িতে আচমকা টর্নেডো, লন্ডভন্ড হয়ে গেল বাড়িঘর
এদিন উত্তম মঞ্চে বৈঠক সেরে স্থানীয় লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে গিয়ে সন্ধ্যা আরতি করেন।