প্রতিবেদন : বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির হাতে সংস্থার মালিকানা যাওয়া সত্ত্বেও দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছে ট্যুইটার। সংস্থার মালিক খোদ এলন মাস্কই দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার সংস্থার বৈঠকে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। সংস্থার ওই জরুরি বৈঠকে মাস্ক জানান, আর্থিক সংকট এমনই অবস্থায় পৌঁছেছে যে তা সহজে মিটবে না। এমনকী, আগামী বছরেও সংস্থার কয়েক বিলিয়ন ডলার লোকসান হতে পারে। তাই সংস্থার ৫০ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করা হলেও দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
আরও পড়ুন-প্রতিষ্ঠানবিরোধী প্রবল হাওয়া হিমাচলে বিজেপির শিরেসংক্রান্তি
ট্যুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পরই মাস্ক যেমন কর্মী সংখ্যা কমিয়েছেন, তেমনই ভেরিফায়েড ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে ৮ ডলার চার্জের কথাও ঘোষণা করেছেন। ইংল্যান্ড, আমেরিকা-সহ বেশ কয়েকটি দেশে ইতিমধ্যেই সেই চার্জ ধার্য করা হয়েছে। পাশাপাশি সমস্ত কর্মীকে বলা হয়েছে, তাঁদের সকলকেই এবার অফিসে এসে কাজ করতে হবে। প্রত্যেক কর্মীকে সপ্তাহে অন্তত ৪০ ঘণ্টা অফিস থাকতে হবে। তবে অফিসে এলেও আর বিনামূল্যে তাঁরা কোনও খাবার পাবেন না।
আরও পড়ুন-রাশিয়ার আশ্বাস
তবে এত কিছু পরেও আর্থিক সংকট মেটা তো দূরের কথা, বরং সংস্থার দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে। সম্প্রতি নিজের আর এক সংস্থ টেসলার প্রায় ৩.৯৫ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন মাস্ক। অনেকেই মনে করছেন, ট্যুইটার কেনার পর আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন মাস্ক। তাই বাধ্য হয়েই টেসলার শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন-অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস তামিলনাড়ুতে লাল সর্তকতা
মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএন জানিয়েছে, ট্যুইটারের বহু উচ্চপদস্থ আধিকারিক ইস্তফা দিচ্ছেন। বুধবারই পদত্যাগ করেছেন ট্যুইটারের দুই এক্সিকিউটিভ ইয়োল রোথ ও রবিন হুইলার। বৃহস্পতিবার ইস্তফা দেন চিফ সিকিউরিটি অফিসার লিয়া কিসনারও।