প্রতিবেদন: “কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে আমরা কখনই বিজেপি বিরোধী বিকল্প বলছি না। কিন্তু রাহুল গান্ধী এখনও নরেন্দ্র মোদির বিকল্প মুখ হয়ে উঠতে পারেননি। দেশে বিকল্প মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা বিকল্প হিসেবে জননেত্রীর মুখ সামনে রেখেই গোটা দেশে প্রচার শুরু করব।”
আরও পড়ুন: অভিষেকের বিরুদ্ধে আরও কুৎসার চক্রান্ত
উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মিসভা থেকে এই ঘোষণা হল। ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউট হলে ভিড় উপচে পড়া সভায় এই দিল্লি অভিযানের বার্তা স্পষ্ট করে দিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি ও মন্ত্রী তাপস রায়, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, সাংসদ শান্তনু সেন। এর সঙ্গে টাইম ম্যাগাজিনে বিশ্বের সেরা কুড়িজন রাজনীতিবিদের তালিকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদির নাম থাকায় এই কথাও এবার উঠে এসেছে যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া দেশে বিকল্প মুখ নেই।
তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ভাষণে বলেন,” দেশে বিকল্প দরকার। আমি রাহুল গান্ধীকে বহুদিন চিনি। কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি যে তিনি এখনও নরেন্দ্র মোদির বিকল্প মুখ হয়ে উঠতে পারেননি। গোটা দেশ মমতাকে চাইছে। আমরা সব বিরোধী দলের সঙ্গে কথা বলে মমতাকে বিকল্প মুখ হিসেবে সামনে রেখেই প্রচারে যাব।” সুদীপ বলেন,” সংসদীয় কমিটির কাজে গুজরাট, গোয়া গিয়েছিলাম। অনেকের সঙ্গে কথা হল। মানুষ বলছেন আমরা বাংলার বিধানসভা ভোটের ফলের দিকে তাকিয়ে বসেছিলাম। বিজেপি হারায় আমরা খুশি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দেশের হাল ধরতে হবে।”
কুণাল ঘোষ বলেন,” বাংলা তৃণমূলের দুর্গ। এরপর ত্রিপুরায় ২০২৩ সালে সরকার গঠন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। আর ২০২৪ সালে দিল্লিতে বিজেপিকে সরিয়ে বিকল্প শক্তির ভরকেন্দ্র হবে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গোটা দেশের মানুষ চাইছেন।” তাপস রায়, শান্তনু সেন, বিবেক গুপ্তা, রেহানা খাতুন বলেন, ” বাংলার জননেত্রীকে প্রধানমন্ত্রী চান দেশের মানুষ।”
বস্তুত তৃণমূলের কোনও বক্তাই কংগ্রেসকে কোনোরকম অসম্মান করেননি। কিন্তু তাঁদের বক্তব্য রাহুল গান্ধীকে মানুষ মোদির বিকল্প মুখ হিসেবে দেখছে না। বারবার নির্বাচনী ব্যর্থতায় সময় নষ্ট করা যাবে না। রাহুল সুযোগ পেয়েছিলেন বারবার। পারেননি। কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়েই বিকল্প জোট হবে। কিন্তু জবরদস্ত গ্রহণযোগ্য বিকল্প মুখ সামনে রেখে প্রচারে যেতে হবে। আর এই মুখ হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এতে বিকল্প মঞ্চের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। ২০১৪ বা ২০১৯-এর পুনরাবৃত্তি হবে না। আর দিল্লিতে জোর টক্করের বাতাবরণ থাকলে রাজ্যগুলিতেও বিজেপির ভোট কমতে বাধ্য। অন্যথায় দিল্লি একতরফা হয়ে গেলে রাজ্যগুলিতে বিজেপি কিছু ভোট বাড়তি পায়। সেটা হতে দেওয়া যাবে না। তবে তৃণমূলের এটাও বক্তব্য, এবিষয়ে দলের কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হয়নি। এটি কর্মিসভায় নেতাদের বক্তব্য।
আরও পড়ুন: হিন্দুস্তান পাকিস্তান হবে না, কুৎসায় কান না দিয়ে ভরসা রাখুন”! হিন্দিভাষীদের বার্তা মমতার
এদিকে, টাইম ম্যাগাজিনের তালিকায় বিশ্বের সেরা কুড়িজন প্রভাবশালীর তালিকায় নরেন্দ্র মোদি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম থাকায় এই আলোচনাও উঠে আসছে যে ভারতে মোদিকে টেক্কা দেওয়ার একটি মুখই আছে। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।