সংবাদদাতা, দুর্গাপুর : বিশ্বের মধ্যে সর্ববৃহৎ পান্না আবিষ্কার করে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ নাম তুলে ফেললেন দুর্গাপুরের বিশিষ্ট ভূতত্ত্ববিদ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাঁদের পাহাড় উপন্যাসের শঙ্করের মতোই এই বাঙালি তরুণের নেশা দুষ্প্রাপ্য খনিজের সন্ধান করা, আর সেই শঙ্করের মতোই ভয়ঙ্কর ব্ল্যাক মাম্বা আর বাওয়াব গাছের দেশ আফ্রিকার জাম্বিয়ার কাজেম খনি থেকে সন্ধান পেলেন বিশ্বের সর্ববৃহৎ এমারেল্ড বা পান্নাটির।
আরও পড়ুন-রসগোল্লা দিবসে দাম তিন টাকা
আনকাট অর্থাৎ না কাটা পান্নাটির ওজন ১৫০৫ গ্রাম। যার বর্তমান বাজারদর প্রায় ১৫ কোটি টাকা। ২০২১ সালের ১৩ জুলাই এই বিশাল ‘সিঙ্গল ক্রিস্টাল’ রত্নটি উদ্ধার করেন। এই ভারতীয় ভূতত্ত্ববিদের এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের ফলে সারা দেশেই পড়ে গিয়েছে ব্যাপক হইচই। মানসের এই অভিযানে যাঁরা সঙ্গী হিসেবে ছিলেন তাঁদের অন্যতম রিচার্ড। তিনি ছাড়াও অভিযান দলের প্রত্যেকেরই নাম গিনেস বুকে তোলা হয়েছে, এই বিরল কৃতিত্বের অংশীদার হিসেবে। মানসের আবিষ্কৃত পান্নাটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘চিপেমবেল’, স্থানীয় জাম্বিয়ান ভাষায় যার অর্থ গন্ডার। আনকাট অবস্থায় পান্নাটিকে দেখতে অনেকটা গন্ডারের মুখের মতো বলেই এই নামকরণ করা হয়েছে। দুর্গাপুরের বিধাননগর এলাকার বাসিন্দা মানসের আদিবাড়ি বাঁকুড়া জেলায়। বাবা ইস্পাত কারখানার কর্মী ছিলেন। দুর্গাপুর সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক হন। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূতত্ত্ব নিয়ে বিএসসি এবং এমএসসি। তাঁর সাফল্যের খবরে দুর্গাপুর শহরবাসী গর্বিত। সবার মুখে মুখে ফিরছে খবরটি।