নবনীতা মন্ডল, নয়াদিল্লি : রাজধানী দিল্লি সহ সংলগ্ন এলাকা ভূমিকম্পপ্রবণ বলেই পরিচিত। এই অঞ্চলে নতুন সংসদ ভবন (New Parliament House- Earthquake) সেন্ট্রাল ভিস্তার সুরক্ষা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একগুচ্ছ প্রশ্নের জবাব চাইলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সংসদ জহর সরকার। মাস দেড়েকের মধ্যে এই নিয়ে পরপর দুবার তিনি চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় আবাসন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীকে। যদিও এখনও পর্যন্ত তিনি একটি চিঠিরও জবাব পাননি। সেন্ট্রাল ভিস্তার ভবনগুলি ভূমিকম্প থেকে কতটা সুরক্ষিত এবং আদৌ সুরক্ষিত কিনা এবং পুরনো সংসদ ভবন আদৌ অসুরক্ষিত কিনা তার বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে ব্যাখ্যা চেয়েছেন তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার। আগামী শীতকালীন অধিবেশনেই নতুন সংসদ ভবনে সভা বসার কথা শোনা গেলেও বাজেট অধিবেশনের আগে নতুন সংসদ ভবন হস্তান্তরিত করা হবে বলে সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, নতুন সংসদ ভবন ভূমিকম্পের দিক থেকে সুরক্ষিত কিন্তু পুরনো সংসদ ভবন নয়। আর তা নিয়েই কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীকে একাধিক চিঠি দিয়েছেন জহর সরকার। ১৪ অক্টোবরের পর ফের ১১ নভেম্বর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন-খুনের কিনারায় নারকো টেস্টের অনুমতি দিল আদালত
২০১৯-এর সেপ্টেম্বরের প্রথমদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ডাকা দরপত্রে বলা হয়, নর্থ এবং সাউথ ব্লক-সহ একাধিক পুরনো ভবন রয়েছে, যেগুলি ভূমিকম্প প্রতিরোধী নয়। ২০২১-এর ৯ অক্টোবর সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে হরদীপ সিং পুরী জানিয়েছিলেন, পুরনো সংসদ ভবন যখন তৈরি করা হয়েছিল সেই সময় এলাকাটি ভূমিকম্পের দ্বিতীয়স্তরে ছিল। বর্তমানে জায়গাটি চতুর্থ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। ফলে ভবনগুলিকে তার উপযোগী করে তোলা দরকার। নতুন সংসদ ভবন (New Parliament House- Earthquake) তৈরির পিছনে এটি অন্যতম কারণ বলে একাধিকবার যুক্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। চিঠিতে জহর সরকার উল্লেখ করেছেন, ২০২২-এর ২৯ জানুয়ারি মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ৯৩ বছরের পুরনো সংসদ ভবন তৈরির সময় এলাকাটি ভূমিকম্পজনিত এলাকার দ্বিতীয়স্তরে ছিল। বর্তমানে সেটি চতুর্থস্তরে চলে গিয়েছে এবং আগামী দিনে পঞ্চম পর্যায়ে চলে যাবে। সুতরাং এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কী ভাবা হচ্ছে তা জানা দরকার। অথচ প্রশ্নের জবাব দিচ্ছে না কেন্দ্র। গত ১১ নভেম্বর ফের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি দেন তিনি। প্রসঙ্গত, শেষ কয়েকদিনে পরপর তিনবার দিল্লি ও এনসিআর কেঁপে উঠেছে। বৈজ্ঞানিকদের মতে দিল্লি এমন একটি অবস্থানে রয়েছে যেখানে এটি শুধুমাত্র হিমালয় অঞ্চলের ভূমিকম্প দ্বারাই প্রভাবিত হয় তাই নয়, বরং এর কাছাকাছি ফল্ট লাইনও রয়েছে। সংসদ ভবন ছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলি কি ভূমিকম্পের থেকে সুরক্ষিত, সে প্রশ্নও তোলেন তৃণমূল সাংসদ।