ব্যুরো রিপোর্ট : আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরবঙ্গের জেলা হাসপাতালে আনা তিনটি শিশুর একদিনে মৃত্যুর ঘটনাকে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর মোটেও হালকা ভাবে নিচ্ছে না। সঙ্গে সঙ্গে জ্বরের কারণ, মৃত্যু ইত্যাদি নিয়ে শুরু হয়েছে পর্যালোচনা। শুক্রবারই স্বাস্থ্য ভবন থেকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের শিশুবিভাগ পরিদর্শনে এল পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি শিশুবিভাগে গিয়েও চিকিৎসা পরিষেবাও খতিয়ে দেখেন তাঁরা। দেখেন আইসিইউ পরিকাঠামো, চিকিৎসক ও পর্যাপ্ত কর্মী রয়েছেন কি না। ঘুরে দেখে ওঁরা জানান, সব কিছু ঠিক আছে। উদ্বেগের কারণ নেই। ওঁরা মালদহ-সহ উত্তরবঙ্গের অন্য জেলাতেও যাবেন বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে শিশুবিভাগে জ্বর নিয়ে ভর্তি প্রায় ১০০ শিশু। উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক ওএসডি ডক্টর সুশান্তকুমার রায় আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘‘সবকিছুই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। চিন্তার কোনও বিষয় নেই।’’
আরও পড়ুন :পাকিস্তান ক্রিকেটে ফের ধাক্কা, ম্যাচ শুরুর আগে সিকিউরিটি অ্যালার্ট
হঠাৎ শিশুদের ভাইরাল জ্বরে আক্রমণ নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের তৎপরতায় বিরোধী দল বিজেপিরও মুখ বন্ধ। উল্টে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে শিশুভর্তি নিয়ে খোঁজখবর করতে এসে শুক্রবার জলপাইগুড়ির সাংসদ ডাঃ জয়ন্তকুমার রায়, শিশুদের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বলেন, ‘‘শিশুদের চিকিৎসা যেভাবে চলছে, তাতে চিন্তার কিছু নেই। এই সময় শিশুদের মধ্যে এরকম সমস্যা স্বাভাবিক ব্যাপার।’’ জানান, হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই।
ইসলামপুর ও রায়গঞ্জে জ্বর, সর্দি, পেটের অসুখে আক্রান্ত বেশকিছু শিশু। গত তিনদিনে ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি ১২ জন, রায়গঞ্জে হাসপাতালে ৪০ জন। রায়গঞ্জ হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ আবদুর রসিদ জানিয়েছেন, রক্তের পরীক্ষার পাশাপাশি, জ্বরের চিকিৎসা চলছে। পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। এখনও করোনা নেই। তবে জ্বর না ছাড়লে করোনা পরীক্ষাও করা হবে।