সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায়: চলতি সপ্তাহে দু’দিন হাওড়া স্টেশন থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা (Money Laundering- Task force) ও সোনা বাজেয়াপ্তের ঘটনায় হাওলার যোগ রয়েছে। এমনই সূত্র মিলেছে তদন্তকারীদের। এব্যাপারে আয়কর দফতর পৃথকভাবে তদন্ত করেছে। এই চক্রের মূল ভরকেন্দ্র ভুবনেশ্বর। পাশাপাশি কলকাতার বড়বাজার এলাকাতেও এর জাল ছড়িয়ে রয়েছে। রহস্য উদঘাটনে জিআরপি ও আরপিএফের সঙ্গে আয়কর দফতরও সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। রেল পুলিশ ও রেল সুরক্ষা বাহিনীর অফিসারদের নিয়ে দূরপাল্লার ট্রেন দিয়ে টাকা ও গয়নাগাঁটি পাচার (Money Laundering- Task force) রুখতে একটা ‘টাস্কফোর্স’ তৈরি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার হাওড়া স্টেশনের ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ঝাড়খণ্ডের এক যুবককে নগদ ১১ লাখ টাকা ও ৬ ভরি সোনার গয়না সমেত গ্রেফতার করে রেল পুলিশ। তার দু’দিন পরেই ফের শুক্রবার হাওড়া স্টেশনের ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে উত্তরপ্রদেশর এক যুবকের কাছ থেকে নগদ ৩৫ লাখ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে হাওড়া স্টেশন থেকে এই কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা বাজেয়াপ্তের ঘটনায় তাজ্জব হয়ে যান রেল পুলিশের কর্তারা। তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে পুলিশ কর্তারা জানতে পেরেছেন এই ঘটনার সঙ্গে হাওলার যোগ। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড প্রভৃতি রাজ্য থেকে এই টাকা হাওড়া স্টেশন হয়ে হাওলার মাধ্যমে পাচারের জন্য নিয়ে আসা হচ্ছিল। ভুবনেশ্বর থেকে পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। সেইসঙ্গে বড়বাজারের কয়েকটি জায়গাতেও এর জাল ছড়ানো রয়েছে। এই ব্যাপারে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দাদেরও সাহায্য নিচ্ছেন তদন্তকারী অফিসাররা। পাশাপাশি বিভিন্ন দূরপাল্লার ট্রেনের নজরদারি আরও বাড়ানো হচ্ছে। টাকার উৎস জানতে ভিন রাজ্যের পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। রেল পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানান, ‘‘তদন্তে বেশ কিছু সূত্র আমাদের হাতে এসেছে। সেগুলি আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এর নেপথ্যে হাওলা যোগেরই হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের দুর্নীতি, রাজ্যের প্রতি বঞ্চনা নিয়ে সমালোচনায় সরব তৃণমূল