সংবাদদাতা, নলহাটি : সেলেব হওয়ার অনেক আগেই বীরভূমের (Aindrila Sharma-Birbhum) রাঙামাটিকে ভালবেসে ফেলেছিলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। তাঁর সঙ্গে নলহাটির কৃষ্ণপুরের নিবিড় যোগসূত্র ছিল। বীরভূমের নলহাটি থানার শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুরে ছিল তাঁর পাতানো মামারবাড়ি। তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিভাসচন্দ্র অধিকারী ও তাঁর ভাই সুপ্রকাশকে ডাকতেন মামা। ঐন্দ্রিলার বাবা উত্তম শর্মা নলহাটির লোহাপুরের কাছে মুর্শিদাবাদের পাঁচগ্রামে চিকিৎসা করতেন। সেই সুবাদে বিভাসদের পরিবারের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ। চার-পাঁচবার কৃষ্ণপুরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এসেছেন ঐন্দ্রিলা ও সব্যসাচী। গত বছর কালীপুজোয় ওঁরা এসেছিলেন। ক্লাবের অনুষ্ঠানে বামাখ্যাপার সংলাপ বলেন সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলা (Aindrila Sharma-Birbhum) তাঁর ক্যান্সারজয়ের কাহিনি শোনান। জয় করে নেয় মানুষের মন। চৈত্র মাসে বাসন্তীপুজোতেও এসেছিলেন। সুপ্রকাশের স্ত্রী বনলতাকে ‘মামণি’ ডাকতেন। তিনি জানালেন, শাশুড়ি মা আরতি দেবীর হাতের রান্না খেতে খুব ভালবাসত। মোচার ঘণ্ট ছিল খুব প্রিয়। খেতে খেতে উঠে গ্রামের মানুষের আব্দারে সেলফিও তুলত। এত তাড়াতাড়ি চলে যাবে বলেই কি এভাবে আপন করে নিয়েছিল!
আরও পড়ুন-দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল শ্রমিকের