প্রতিবেদন : শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বিঘ্নে পরীক্ষার লক্ষ্যে বিশেষ ব্যবস্থা নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এবারে টেটে প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনেই জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। পরীক্ষার জন্য যে ১৬ দফা নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই জানানো হয়েছে একথা। ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিকের টেট। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মতোই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে লাউড স্পিকারে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা পরিচালনা করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
আরও পড়ুন-খনিদুর্ঘটনা নিয়ে ছবি আসানসোলে
নির্বিঘ্নে পরীক্ষা পরিচালনা করতে ১৬ দফা গাইডলাইন প্রকাশ করে প্রতিটি জেলার জেলাশাসককে এবং কলকাতা পুলিশের পুলিশ কমিশনারকে পাঠাল রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতেই পরীক্ষাকেন্দ্র লাগোয়া এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত। এদিকে পরীক্ষার দিন রাজ্যের কয়েকটি স্পর্শকাতর এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখার জন্য রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে আবেদন জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এবারের টেটে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৭ লক্ষ। পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মতোই প্রাথমিকের টেটেও একই নিয়ম বলবৎ থাকবে। গাইডলাইনে বলা হয়েছে প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। রাজ্যজুড়ে ১৪৫৩টি পরীক্ষাকেন্দ্রে নেওয়া হবে প্রাথমিকের টেট।
আরও পড়ুন-গঙ্গাসাগরে হেলিকপ্টার পরিষেবা চালুর উদ্যোগ
রাজ্যে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৩১ জন। দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ২.৩০ মিনিট পর্যন্ত মোট আড়াই ঘণ্টা ধরে এই পরীক্ষা হবে। প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে এক্সটেনশন অফিসার পর্যায়ের পুলিশের আধিকারিকরা থাকবেন। লাউড স্পিকার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। মোবাইল ফোন বা কোনওরকম ইলেকট্রনিক গেজেট পরীক্ষাকেন্দ্রের ভেতরে নিয়ে যেতে পারবেন না। পানীয় জল ও শৌচাগারের জন্য প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রশ্নপত্র পৌঁছনোর আগেই প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করতে হবে। পরীক্ষার দিনে পর্যাপ্ত পরিবহণ ব্যবস্থা রাখতে হবে যাতে পরীক্ষার্থীদের কোনওরকম সমস্যা না হয়। পাশাপাশি পরীক্ষার দিনে যাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না হয় তার জন্য বিদ্যুৎ দফতরকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর।