সংবাদদাতা, বোলপুর : বিশ্বভারতীর এক জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠকে অধ্যাপকদের চোর, ধান্দাবাজ বলে বেফাঁস মন্তব্য করে ফের বিতর্কে জড়ালেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিশ্বভারতীর সমস্ত বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করছিলেন উপাচার্য। বৈঠক চলাকালীন আচমকাই বলে বসেন অধ্যাপকরা চোর, ধান্দাবাজ। এখানেই শেষ নয়, এরপর তিনি দাবি করেন এক অধ্যাপকের চাকরি নাকি তাঁর দয়াতেই হয়েছে।
আরও পড়ুন :ভবানীপুর উপনির্বাচন: তৈরি তৃণমূল নেত্রীর প্রচারের সূচি
সঙ্গীত ভবনের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র চুরির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে উপাচার্যের দাবি, ওখানকার বিখ্যাত কীর্তনীয়া সুমন ভট্টাচার্যের চাকরি তিনিই করে দিয়েছেন। ভার্চুয়াল বৈঠকে উপাচার্যের এহেন বক্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। আশ্রমিক সুবোধ মিত্র, কুন্তল রুদ্র একযোগে বলেছেন, এই উপাচার্য যে একজন অশিক্ষিত, গণ্ডমূর্খ তা আবার প্রমাণ করে দিলেন তাঁর এই বক্তব্যর মধ্য দিয়ে। যে শিক্ষকরা দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগর, তাঁদেরই উনি চোর-ধান্দাবাজ আখ্যা দিচ্ছেন! এর থেকে বোঝা যায় দেশের প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর আচার্য কী ধরনের মানসিকতার লোককে এই পদে বসিয়েছেন। অধ্যাপকদের চোর আখ্যা দেওয়া নিয়ে মুখ খুলেছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে কটাক্ষ করে তিনি শনিবার আবারও বলেন, উপাচার্য যে সত্যিই একজন পাগল, তা আবার প্রমাণ হল।