সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ : বন্য আইন অনুসারে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও ডায়মন্ড হারবার, নামখানা, কাকদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ, রায়দিঘি-সহ বেশ কিছু মৎস্য বন্দর লাগোয়া সুন্দরবনের নদী থেকে নির্বিচারে ছোট হাঙর, কামট, শঙ্কর মাছ শিকার চলছে। এর পর ডানা-পাখনা কেটে শুকিয়ে শুটকি মাছের আকারে পরিণত করে সকলের চোখ এড়িয়ে গোপনে পাচার করছে এক শ্রেণির চোরাকারবারি। মোটা দামে দক্ষিণ ভারতে পাচার করছে তা। এই অবৈধ কারবার রুখতে কঠোর পদক্ষেপ করবে বন দফতর।
আরও পড়ুন-লক্ষাধিক টাকার গয়না-সহ ব্যাগ ফেরাল পুলিশ
দিনকয়েক আগে তাদের অভিযান বাহিনী বকখালি থেকে হাতেনাতে চারজনকে ধরে ফেলে। এই ধরনের কাজ যাতে আর না হয় সেজন্য প্রচার শুরু করেছে বন দফতর। সমুদ্রে মাছ শিকারকারী ট্রলার ব্যবসায়ীদের সচেতন করছে পরিবেশ ধ্বংসকারী ব্যবসা বন্ধ করতে। ইতিমধ্যে বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, নামখানা, কাকদ্বীপ এবং সাগরদ্বীপের হাটে-বাজারে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে, মৎস্যবন্দরে লাগাতার প্রচার শুরু করেছে বন দফতর। কোথাও কোথাও পরিবেশ সচেতন মানুষ, গৃহবধূ এবং স্কুলপড়ুয়ারাও প্রচারাভিযানে শামিল হচ্ছেন। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার সময় জালে জড়িয়ে পড়া অলিভ রিডলে কচ্ছপ, গ্রিন সি-টার্টল পিটিয়ে মেরে জলে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার মিলনকান্তি মণ্ডল বলেন, ‘‘হাঙর, কামট, শঙ্করমাছ, কচ্ছপ শিকার, ধরা ও মারার ঘটনায় কেউ যুক্ত প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ট্রলার তো বাজেয়াপ্ত হবেই, ধৃতদের টানা ৭ বছরের জেল ও জরিমানাও হবে।’’