প্রতিবেদন : লক্ষ্মীনারায়ণ হল। উপনির্বাচনের সভা। মধ্যমণি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সামনে বসে এলাকার বিভিন্ন ভাষাভাষীর বিশিষ্টজনেরা। অভিষেক বললেন, বি-মানে যেমন ভবানীপুর তেমনই বি-মানে ভারতবর্ষও। ভবানীপুর ঠিক থাকলে ভারতও ঠিক থাকবে। দিদির হাত শক্ত করে ধরতে হবে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নতুন ভারত গড়ার জন্য ভোট দিন। বিজেপির বিনাশ শুরু হয়ে গিয়েছে। ইডি সিবিআইয়ের উপর একটা সরকার চলছে। একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই পারে বিজেপিকে হারাতে। অন্য কেউ নয়। বাংলায় নিশ্চিন্তে আপনারা আপনাদের কাজ করুন। ব্যবসা করুন। বাংলা গড়ার পিছনে আপনাদের অবদানও কম নয়। এই নির্বাচনকে হালকা করে নেবেন না। গোটা ভারত তাকিয়ে রয়েছে আমাদের দিকে। হাততালি এবং সমর্থন বুঝিয়ে দিচ্ছিল রেকর্ড মার্জিনের রেকর্ড বোধহয় তিরিশের ভোটেই দেখা যাবে। সভা শেষে কেউ অভিষেককে মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করেছেন। কেউ আবার দুরন্ত বক্তব্যের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে গিয়েছেন। এককথায় জমজমাট প্রচারপর্ব।
আরও পড়ুন :ভিডিওয় বিতর্ক , মোদির সাফল্য দেখাতে গিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেসের ছবি
বাবুল সুপ্রিয়র যোগদানপর্ব মিটে যাওয়ার পরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার প্রথমে ছুটে যান ভবানীপুরের লক্ষ্মী-নারায়ণ মন্দিরে। সেখানে প্রথমে পুজো দেন, আরতি করেন তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে নির্বাচনী সভায় উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় মিশে যান। শনিবারের সভায় মূলত দুটি ওয়ার্ডের মানুষ ছিলেন বেশি। অভিষেক ব্যবসায়ী মহলকে আশ্বস্ত করে বলেন, কেউ ধমকালে-চমকালে, তোলা চাইলে আমাদের জানান। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেব। মনে রাখবেন, এরাজ্যে সমস্ত দুর্নীতির তদন্ত হবে। সমবায় ব্যাঙ্কেও দুর্নীতি হয়েছে। তদন্ত হবে। কেউ ছাড় পাবে না। এর আগে এক ব্যবসায়ীকে ধমকে তোলা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়ার পরে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল তার উদাহরণও তুলে ধরেন। আপনারা লক্ষ রাখবেন, আগামী ৩ মাসে তৃণমূল কংগ্রেস কোথায় পৌঁছচ্ছে। অনেক চমক অপেক্ষা করছে। আপনারা সঙ্গে থাকুন, দিদির সরকার আপনাদের সঙ্গে আছে। তৃণমূল কংগ্রেস লড়বে, জিতবেও। শুধু এরাজ্যে নয়, অন্যান্য রাজ্যেও জয় ছিনিয়ে আনবে। ইতিমধ্যে বাবুল সুপ্রিয় দিদিকে অনুসরণ করে তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারে এসেছেন। আগামী দিনে অনেকেই আসবেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন, সুব্রত বক্সি, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মালা রায়, দেবাশিস কুমার, অসীম বসু-সহ অন্যান্য সাংগঠনিক নেতৃত্ব। পার্থ চট্টোপাধ্যায় পরে বলেন, অত্যন্ত হৃদ্যতার সঙ্গে এই নির্বাচনী সভায় আলাপ-আলোচনা হয়েছে।