আগরতলা : আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রায় কোনও বাধা, কোনও চক্রান্ত বরদাস্ত করা হবে না। তৃণমূল শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করবে। পুলিশ প্রশাসন যেন বিজেপির নির্দেশে আপত্তিকর কাজ না করে।
শনিবার ত্রিপুরা পুলিশের ডিজির সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তাঁর প্রতিনিধি এডিজিকে একথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন, সুবল ভৌমিক, আশিসলাল সিং, মামুন খান-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। ডিজি দিল্লিতে। তিনিই বলে দেন কার সঙ্গে বৈঠক হবে। পদযাত্রা নিয়ে সবিস্তারে নিজেদের বক্তব্য জানান তাঁরা। লিখিত স্মারকলিপিও দেন। সেখানে কীভাবে অভিষেকের পদযাত্রার কর্মসূচিকে কোনও কারণ ছাড়াই বানচাল করার চেষ্টা হচ্ছে, তারিখ ধরে ধরে তার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। বিজেপির মদতে এই কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। উল্লেখ্য, প্রথমে ১৫ সেপ্টেম্বর অভিষেকের পদযাত্রার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। সেই কর্মসূচিতে অনুমতি দেয়নি পুলিশ।
আরও পড়ুন :বি ফর ভবানীপুর, ভারতও
তখন বলা হয়েছিল, ওইদিন পদযাত্রার নির্দিষ্ট রুট এবং গোটা আগরতলা শহরেই নাকি অন্য কোনও দলের কর্মসূচি রয়েছে। যদিও বাস্তবে তেমন কিছুই হয়নি। স্রেফ অভিষেকের পদযাত্রা বানচাল করতেই যে এই কুযুক্তি, তা তখনই স্পষ্ট হয়ে যায়। এরপর বিশ্বকর্মা পুজোর অজুহাত দেখিয়ে তার আগের দিন অর্থাৎ ১৬ সেপ্টেম্বর পদযাত্রার অনুমতি নাকচ করে ত্রিপুরা পুলিশ। সেই সময় তৃণমূল নেতারা ২২ সেপ্টেম্বর পরিবর্তিত তারিখ ঘোষণা করে বলেছিলেন, ফের যদি ওইদিনও তাঁদের আটকানো হয় তাহলে সরাসরি আদালতে মামলা করা হবে। স্মারকলিপি জমা দিয়ে দলের এই বক্তব্যই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি এদিন পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়টি নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দেন নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন :আগামী সপ্তাহেই বাবুল ছাড়ছেন সাংসদ পদ
পরে শান্তনু বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। তাঁর পদযাত্রা ঠেকাতে বারবার চেষ্টা করছে। এখনও চক্রান্ত চলছে। বিভিন্ন এলাকায় ভয় দেখানো হচ্ছে। কিন্তু এসব করে ঐতিহাসিক পদযাত্রা ঠেকানো যাবে না। ত্রিপুরার মানুষ তৃণমূলকে গ্রহণ করেছে, বিকল্প ভাবছে। শান্তনু এদিন দফায় দফায় দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে পদযাত্রা নিয়ে বৈঠক করেন। শান্তনুর বক্তব্য, আগে পদযাত্রার অনুমতি অকারণে বাতিল করেছে। এবার এখনও কিছু বলছে না। শেষ মুহূর্তে জলঘোলার চক্রান্ত করছে। শান্তনুরা ত্রিপুরাজুড়ে বিজেপির সন্ত্রাস, এমনকী মিডিয়ার উপর যে হামলা চলছে, তার তীব্র প্রতিবাদ করেন।