প্রতিবেদন : ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারের (Tripura BJP- TMC) বর্বরোচিত আচরণ-স্বৈরাচারী মনোভাব ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার বাড়ি ঘেরাও করল ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস। দলের স্টেট ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ সুস্মিতা দেবের নেতৃত্বে আগরতলার বনমালীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে চলে অবস্থান-বিক্ষোভ। বিজেপি সরকারের পুলিশ অবস্থান তুলতে গিয়ে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের লাঠিচার্জ করে। ব্যাপক মারধোর করে। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে পুলিশের বর্বরোচিত আক্রমণ। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও ও অবস্থান বিক্ষোভের আগে আগরতলা শহরে প্রতিবাদ মিছিল করেন দলের নেতা – কর্মী – সমর্থকরা। পরিস্থিতির বদল না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারী দিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের উপেক্ষা, বৈঠক হল চা-শ্রমিকদের আন্দোলন নিয়ে
খুন – ধর্ষণ, – মাদকের কারবার ও সীমান্তে চোরাচালান সহ একাধিক দিক দিয়ে ক্রমশ অবনতি হয়েছে ত্রিপুরার (Tripura BJP- TMC) আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা – কর্মীদের ওপর আক্রমণ তো আছেই। এরই মধ্যে চারলিমে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মীকে খুন করে বিজেপির গুন্ডারা। অন্য দলের কর্মী হলেও প্রতিবাদে নামে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরায় দলের স্টেট ইনচার্জ রাজীব বন্দোপাধ্যায় বলেন, যে কোনো রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে লড়াই – আন্দোলন করার অধিকার আছে। একটি অন্য রাজনৈতিক দলের কর্মী মারা গিয়েছে। তবুও তৃণমূল কংগ্রেস রাস্তায় নেমেছে। কারণ আমরা মনে করি অন্য রাজনৈতিক দল হলেও তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে এই প্রতিবাদ করা উচিৎ। তারা মিছিল করলেও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করার সাহস দেখাতে পারেননি। আমরা ঘেরাও করেছি। তৃণমূল কংগ্রেস যখন বিজেপির দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে তখন আমাদের পাশে কেউ দাঁড়ায়নি আমরা একা লড়েছি – লড়ব। কিন্তু আমরা বাকিদের হয়েও প্রতিবাদ করতে জানি। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে আগামী দিনে ত্রিপুরায় বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে দল।