প্রতিবেদন : গুজরাত বিধানসভা ভোটের প্রচারে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ ও অভিনেতা পরেশ রাওয়ালের (Paresh Rawal- TMC) বাঙালি–বিদ্বেষী মন্তব্যের প্রতিবাদে গর্জে উঠল তৃণমূল কংগ্রেস৷ একইভাবে মন্তব্যের নিন্দায় সরব অন্যান্য বিরোধী দল এবং বহু সাধারণ মানুষ৷ সমালোচনার চাপে ঢোঁক গিলতে হয়েছে রাওয়ালকে৷ মন্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছে৷ ভালসাদের এক প্রচারসভায় পরেশ রাওয়াল বলেছিলেন, মূল্যবৃদ্ধি সহ্য করতে পারবেন গুজরাতের মানুষ৷ কিন্তু যদি পাশের বাড়িতে রোহিঙ্গা বা বাংলাদেশি উপস্থিত হয় তখন গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে কী করবেন? বাঙালিদের জন্য কি মাছ ভাজবেন?
আরও পড়ুন-কেন্দ্র-রাজ্যের সমন্বয় ঘটালেন সাংসদ শত্রুঘ্ন
বিজেপি প্রচারক অভিনেতার বাঙালি–বিদ্বেষী এই শ্লেষ প্রকাশ্যে আসতেই পাল্টা প্রতিবাদে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস৷ দলের পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, মোহনবাগানের চিংড়ি আর ইস্টবেঙ্গলের ইলিশ— মাছ নিয়ে খোঁটা দিলে করে দেব পালিশ৷ মাছেভাতে বাঙালি৷ মাছ আমাদের খাদ্যাভ্যাস এবং অর্থনীতি৷ মাছের সঙ্গে বহু মানুষের পেশা ও কর্মসংস্থান জড়িত৷ বিজেপি মাছ আর বাঙালিকে নিয়ে খোঁটা দিচ্ছে, অপমান করছে৷ ওটাই ওদের নীতি! কে কী খাবে, কে কী পরবে সেটা বলে দেয়৷ কুণাল ঘোষের বক্তব্য, সে জন্যই বিজেপি নেতাদের বহিরাগত বলা হয়েছিল৷ দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, লোডশেডিং অধিকারীরা এবার কী বলবেন? পরেশ রাওয়ালের (Paresh Rawal- TMC) মন্তব্যের বিরোধিতা করে তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন তৃণমূল নেতা সাকেত গোখেল৷ বিজেপির প্রচারক অভিনেতার মন্তব্যের নিন্দা করে পশ্চিমবঙ্গের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে হার হজম করতে না পেরে বাঙালিদের টার্গেট করা হচ্ছে৷ বিভাজনের রাজনীতি করতে গিয়ে অসংবেদনশীল মন্তব্য করছে বিজেপি৷ মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে বাঙালিদের খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা হচ্ছে৷ খুবই দুর্ভাগ্যজনক ও নিন্দনীয়৷