রবীন্দ্রনাথের বিয়ের (Marriage) ঘটকালি করেছিলেন তাঁর মামা ব্রজেন্দ্রনাথ রায়ের পিসিমা আদ্যাসুন্দরী। বিয়ের দিন তাঁর বয়স ছিল ২২ বছর ৭ মাস ২ দিন। রবিঠাকুরের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রাহ্ম হলেও রবীন্দ্রনাথের কিন্তু বিয়ে (Marriage) হয়েছিল খুলনা অঞ্চলের হিন্দু বিবাহরীতি অনুসারেই। বিয়ের (Marriage) আগে তাঁর বাড়িতে গায়ে হলুদ, আইবুড়ো ভাত সবই হয়েছে। পারিবারিক জমকালো বেনারসি শাল পরে বিয়ের আসরে বসেছিলেন তিনি। পাত্রীপক্ষ সদলবলে কলকাতায় এসেছিলেন তাঁদের মেয়ের দিতে। রবীন্দ্রনাথের ইচ্ছে অনুসারে কন্যা-আহ্বানের নিয়ম অনুযায়ী পাত্রী আসেন তাঁকে বিয়ে (Marriage) করতে। না, তিনি ডেস্টিনেশন ওয়েডিং করেননি। পশ্চিমের বারান্দা ঘুরে অন্দরমহলে এসেছিলেন বিয়ে (Marriage) করতে। সেখানেই বিয়ে (Marriage) নিতান্ত ঘরোয়া ভাবেই হয়েছিল তাঁদের। ধুমধাম, আড়ম্বর ছিল না সেখানে। সবচেয়ে অবাক-কাণ্ড যেটা, বিয়ের (Marriage) নিমন্ত্রণপত্র নিজে হাতে লিখেছিলেন কবিগুরু। যুগের চিহ্ন রয়ে যায় বিয়ের মতো মাঙ্গলিক উৎসবে। যুগ পেরোয়, ঘটে পালাবদল। আধুনিক বিয়ে এখন এক মেগা ইভেন্ট আর বরপক্ষ, কনেপক্ষ কনে সেখানে পারফরমার।
হাত বাড়ালেই বন্ধু
ওঠ ছুঁড়ি তোর বিয়ের দিন আর নেই। এখন বিয়ের তোড়জোড় , কেনাকাটা, ভেনু, কার্ড, ক্যাটারার, মেক আপ আর্টিস্ট, ফ্লোরিস্ট থেকে ফটোগ্রাফার একবছর আগেই বুকিং হয়ে যায়। কয়েকবছর আগেও এই গুরুদায়িত্ব থাকত বাড়ির জ্যাঠা, কাকাদের উপর। এখন নিউক্লিয়ার পরিবারে সে গুড়ে বালি। লোকবল না থাকলে নাকানিচোবানি। তাই বাজেট থাকলে অনেকেই সেই দায়িত্ব দিয়ে দিচ্ছেন ওয়েডিং প্ল্যানারদের। এনগেজমেন্ট, মেহেন্দি সেরিমনি, থিম ওয়েডিং, ডেস্টিনেশন ওয়েডিং, পুরোহিত, শপিং, অতিথিদের দেখভাল, ক্যাটারার এমনকী হানিমুন প্ল্যানিংও তাঁরাই করে দিচ্ছেন। এক্কেবারে নিশ্চিন্ত। অনেক নামজাদা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা করছে এই কাজ।
কান পেতে রই
অঘ্রান পড়তে না পড়তেই সানাইয়ের সুর। তেল সিঁদুরে ছোঁয়ানো সেই বর-কনের ছবি দেওয়া বাঙালি বিয়ের ট্রাডিশনাল কার্ড আর করজোড়ে নিমন্ত্রণের যুগ পেরিয়েছে। এখন স্মার্ট প্রেজেন্টেশনের যুগ। বিয়ের কার্ড বাই পোস্ট পৌঁছে যায় আত্মীয়-পরিজনের কাছে বা ফোনে ফোনে ছড়িয়ে যায় ডিজিটাল কার্ড। কাস্টমাইজড কার্ড এ-যুগের বৈচিত্র। সুদৃশ্য ডিজাইনার বক্সে উপহার সমেত ইনভিটেশন কার্ড পাঠাচ্ছেন অনেকেই। এই মুহূর্তে সবচেয়ে পপুলার এই কার্ডের বাজেটও বেশি। সেই বক্সে থাকে টুকরো টুকরো উপহার। সেই বক্সে থাকে সুগন্ধি শুকনো ফুল, পারফিউম, গয়না, দামি চা, ড্রাইফ্রুটস, চকোলেট থেকে শুরু করে আরও অনেক উপহার।
ব্যাচেলারেটস
অবিবাহিত জীবনের অন্তিম উদযাপন হল ব্যাচেলরস পার্টি, ইদানীং কালে বিয়ের একটা অন্যতম অঙ্গ। সে আবার কী! এতদিন তো ছিলেই ব্যাচেলর তার আবার পালন? বলিউডি ছবির প্রভাব এখনকার স্পিনস্টার পার্টি। এটা না করলে বিয়ের কৌলীন্য নষ্ট হবে যে। বিয়ের আগের জীবন আর ফিরে পাব না তাই বেশ পঞ্চাশ, একশো বন্ধুবান্ধব নিয়ে একটা গোটা পার্টিই অ্যারেঞ্জ করে ফেলেন পাত্র এবং পাত্রী উভয়ই। খাওয়াদাওয়া, নাচাগানা, ককটেল ডিনার থেকে শুরু করে অনেক সিক্রেট রোমাঞ্চ থাকে সেই পার্টিতে। পার্টির জন্য কেউ কেউ আবার বেছে নিচ্ছে ফার্ম হাউস, রিসর্ট, সি বিচ। পার্টিতে থাকছে বিশেষ থিম। একই থিমের পোশাক, অ্যাক্সেসরিজে হুল্লোড়ে মেতে উঠছে তারা।
ছোট বিয়ে
এনগেজমেন্ট শব্দটা এখন না কি পুরনো। নতুন একটা শব্দ শোনা যাচ্ছে ডেট ব্লকিং ডে। এটাই আধুনিক এনগেজমেন্টের সারমর্ম। ওয়েডিং প্ল্যানাররা বলছেন, ওইদিন বর-কনে একটা ভিডিও শ্যুট করে। ওই ভিডিও সবাইকে পাঠিয়ে বিয়ের ডেটটা জানিয়ে সেই ডেটটা ব্লক করতে বলা হয়। আবার এইদিন অনেকেই ছোটখাটো একটা বিয়ে সেরে ফেলেন। ভেনু আর মেনু দুই-ই থাকে। অভ্যাগতরা সেদিনও আসেন উপহার নিয়ে। কেউ কেউ ওইদিন আইনত বিয়েটাও সেরে ফেলছেন।
সে চিইইইজ
বিয়ের শুরু এখন আর আইবুড়ো ভাত খাওয়া দিয়ে হয় না, শুরু হয় প্রি ওয়েডিং ফটোশ্যুট দিয়ে। বিয়ের দিন সরাসরি অন ক্যামেরা হতে অনেকেরই অস্বস্তি হয়। সেলফির যুগে এখন প্রতিমুহূর্তের ছবিটাই আসল। বাড়ির অনুষ্ঠান কখন হাতের ফাঁক দিয়ে গলে গেল সেই চিন্তা নেই শুধু ছবির পোজটা ঠিকঠাক আছে কি না সেটাই আসল। আর হবু দম্পতির একান্তে নতুন করে নিজেদের কেমিস্ট্রিটাকে একবার ঝালিয়ে নেওয়াও প্রি ওয়েডিং ফটোশ্যুটের উদ্দেশ্য। সেই ছবি দিয়ে বিয়ের কার্ড কাস্টমাইজড তৈরি করছেন অনেকেই। প্রকৃতির কোলে পুরোদস্তুর কস্টিউম এবং লুক চেঞ্জ করে ঝকঝকে ফোটো সেশন যেন স্বপ্নের হাতছানি।
স্বপ্নের ভেনু
বিয়ের নতুন কনসেপ্ট ডেস্টিনেশন ওয়েডিং। হালফিলের হেভিওয়েট সেলেব পাত্রপাত্রী থেকে উচ্চবিত্তরা বিয়ের গোটা ইভেন্টকে সটান তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছেন পছন্দের ডেস্টিনেশনে। শহরের বাইরে, রাজ্যের বাইরে এমনকী দেশের বাইরে। তাই বিয়ের সিজনে চড়চড় করে বাড়ছে বিয়ের ডেস্টিনেশনগুলোর খরচ। যার মধ্যে রয়েছে পুরনো রাজবাড়ি থেকে শুরু করে সমুদ্রের ধার, রিসর্ট, প্রাকৃতিক পরিবেশ। দেশের মধ্যে এই মুহূর্তের সবচেয়ে পপুলার ডেস্টিনেশনগুলোর অন্যতম হল জয়পুর, যোধপুর, উদয়পুর, গোয়া আর বিদেশে তো তালিকা অন্তহীন। ওয়েডিং প্ল্যানাররাই পুরো বিয়েটা ডিজাইন করে দিচ্ছেন এবং নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার দায়িত্বও নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছেন।
থিম্যাটিক
ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের বাজেট নেই তাহলে হয়ে যাক থিম ওয়েডিং। অনেকের বিয়েতেই একটা থিম থাকছেই। অর্থাৎ বিয়েবাড়ি, তার আশপাশের সাজসজ্জা থেকে বর- কনের পোশাক, তাদের পরিবারের সদস্যদের পোশাক, গয়না, অ্যাক্সেসরিজ সবকিছু থিম ওরিয়েন্টেড। থিমগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল রাজওয়াড়া থিম, ট্রাডিশনাল বাঙালিয়ানা থিম, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির থিম। বেশ শান্তিনিকেতনি কায়দায় এ টু জেড থাকে সেই থিমে, ফ্লোরাল থিম।
আরও পড়ুন-সুয়ারেজদের বিদায়, শেষ ষোলোয় কোরিয়া: এশীয় চমক অব্যহত, হার পর্তুগালের
মেহেন্দিয়ানা
বিয়ের এখন আর বাঙালি-অবাঙালি বলে কিছু নেই। লেহেঙ্গা আর বেনারসির সহাবস্থান এমনকী বাঙালি কনে ওয়েডিং গাউনও পরছেন রিসেপশনে। সেলেব বর-কনেদের সেই পেটেন্ট হাসিমুখ, হাতভরা মেহেন্দি, জমকালো লেহেঙ্গা, চোলি, মুখভরা নথ, হাতে জুড়া, গলার মঙ্গলসূত্রে মুগ্ধ জেনারেশন এক্স,ওয়াই, জেড সক্কলে। সাধ পূরণের কসুর রাখতে চাইছেন না তাঁরা, তাই বাঙালি বিয়েতে ঢুকে পড়েছে মেহেন্দি, সংগীত, সগাই সবকিছু। হাতভরা মেহেন্দি পরে পানপাতায় মুখ ঢাকছেন কনে। সেই দিনটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে থাকছে ককটেল ডিনারও।
উল্টে দেখ পাল্টে গেছি
বিয়ের এই ক্রমবিবর্তনে সবচেয়ে বড় বদল এসছে কনে সাজে থুড়ি আধুনিক শব্দটি হল ব্রাইডাল মেকওভার। সত্যি মেকওভার। এক্কেবারে সাজের ওভার ডোজ। চেহারা এখন আর ম্যাটার করে না। রয়েছে তো মেক আপ আর্টিস্ট। এক লহমায় ভোল পাল্টে সাধারণকে করে তুলছে অসাধারণ। মেক আপ ট্রেন্ডের বদল ঘটছে মুহুর্মুহু। এইচ ডি মেক আপের যুগে লুকটাই লাখ কথা বলে। ক্যামেরার প্রতিটা অ্যাঙ্গেল থেকে বর-কনে পারফেক্ট। এখন বহু বাঙালি বিয়েতে বর-কনে থিম অনুযায়ী মেকআপ করছেন। সেখানে কালার প্যালেট খুব গুরুত্বপূর্ণ। কনের চেহারা, পার্সোনালিটি, কমপ্লেকশন দেখে মেকআপ আর্টিস্ট তাঁর সাজটা ডিজাইন করে দেন। কী রঙের ড্রেস বা শাড়ি হবে, কী ব্লাউজ, লেহেঙ্গা, চোলির কালার, জুয়েলারি, ব্যাগ সবটাই। এখন বিয়ে তো আর একদিনের নয় তাই ট্রাডিশনাল বাঙালি লুক, স্মোকি লুক না কি এয়ার ব্রাশ মেকআপ কোনটা, ব্রাইট আইজ না কি এমবলিশড লুক কোনদিন কোনটা সেটা ঠিক করে দেবেন মেকআপ আর্টিস্টই। বিয়ের প্রি ব্রাইডাল গ্রুমিং করিয়ে নিচ্ছেন কনেরা, তাতে বিয়ের আগে ঝকঝকে হয়ে উঠছেন তাঁরা।
যদিদং হৃদয়ং তব
বিয়ের মন্ত্র আজও একই হলেও বর-কনেকে বসিয়ে সেই মন্ত্র যিনি পাঠ করান বদলে গেছে তাঁর চিত্রকল্প। পৌরোহিত্যে এখন মহিলারা। বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ, অধিবাস, নারায়ণ শিলার পুজো, মালাবদল, শুভদৃষ্টি, সাতপাক, মধ্যে মধ্যে রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুর— চেনা ছকের বাইরে এক অন্যরকম আবহে বিয়ে। আর সেই বিয়ে দিচ্ছেন মহিলা পুরোহিতরা। একসময় মনে করা হত বৈদিক মন্ত্র কোনও নারীর উচ্চারণের বিষয় নয়, সেই ধারণা ভেঙে নতুন ধারা গড়েছেন মহিলা পুরোহিত। আধুনিক বর-কনেরাও তাই চাইছেন। কারণ সবক্ষেত্রেই যদি নারী পুরুষের সমকক্ষ, তাহলে পৌরোহিত্যেই বা নয় কেন?
ফুলেল
বিয়েতে ফুলের কদর চিরকালীন। কিন্তু আধুনিক বিয়েতে ফ্লোরাল ডেকরেশন, ভেনুর ফুল সাজ, ফ্লোরাল থিম, মালাবদলের পেল্লাই গোলাপ ফুলের মালা, কনের ফুল সাজ সবেতে যেন নিখুঁত প্রচেষ্টা। গায়ে হলুদে অনেক কনে তাক লাগানো হলুদ ফুল সাজের থিম করছেন। বউভাতে ফুলের গয়না পরার ট্রাডিশন আগেও ছিল কিন্তু এখন চমকটা অন্য। দামি বিদেশি ফুলের কাস্টমাইজড গয়না পরে ডিজাইনার ফ্লোরাল স্টেজে কনে যেন রূপকথার সাম্রাজ্ঞী ।
এসো বসো আহারে
‘আসুন-বসুন সবাই, আজকে হলাম ধন্য, যৎসামান্য এই আয়োজন আপনাদেরই জন্য। মাংস, পোলাও, চপ-কাটলেট, লুচি এবং মিষ্টি।/খাবার সময় এদের প্রতি দেবেন একটু দৃষ্টি’
কবিতাটি কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যর লেখা। বিয়ের সঙ্গে জমাটি ভূরিভোজ না হলে কী আর বাঙালি হয়ে ওঠা যায়। কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া হোক বা ব্যুফেতে এটিকেট মেনে খাওয়া— বিয়েবাড়িতে উদরপূর্তির ভরাট আয়োজনই বাঙালিয়ানার ট্রেডমার্ক। আগে বিয়ে হত বাড়িতেই। সামিয়ানা বেঁধে খাওয়া হত ছাদে বা দালানে। মাটিতে আসন পেতে বসানো হত অতিথিদের। কলাপাতায় নুন লেবু, বোঁটা সমেত লম্বা বেগুন ভাজা, লুচি, কুমড়োর ছক্কা, মাছের মাথা দিয়ে ডাল, কাঁটা চচ্চড়ি, কাতলা মাছের কালিয়া, কচি পাঁঠার ঝোল, চাটনি, দই, রাবড়ী, পান কী থাকত না। বালতি করে করা হত পরিবেশন। অতি সাধারণ বাড়ির বিয়ের এটাই ছিল সেট মেনু। বসত ভিয়েন, তৈরি হত বোঁদে, জিলিপি, পান্তুয়া। যুগ বদলেছে, এখন সাবেকি মেনু বিয়েবাড়ির ঐতিহ্য। ট্রাডিশনাল বাঙালি খাবার হলে চড়া দাম। বরং অন্য মেনুতে খরচ কম। বিয়ে এখন একমাসের আর খাওয়া-দাওয়াও। রেজিস্ট্রি, আংটি বদল, আশীর্বাদ, মেহেন্দী, সংগীত, গায়ে হলুদ, বিয়ের দিন সকাল, রাত, পরেরদিন চলতেই থাকে ভূরিভোজের দেদার পর্ব। কেতাদুরস্ত ছেলেরা এমনকী মেয়েরাও আপ্যায়নে হাজির থাকছে ক্যাটারিং সার্ভিসের পক্ষ থেকে। বাঙালি বিয়ের মেনুতে এখন প্রাদেশিক পদের রমরমা, সঙ্গে চাইনিজ, মোগলাই, কন্টিনেন্টাল, লেবানিজ তো আছেই। রয়েছে নামীদামি ক্যাটারার। কাস্টমাইজড আইটেম পেয়ে যাবেন আবার রয়েছে সেট মেনুও। আধুনিক বর-কনে বেশ ডায়েট সচেতন। বিয়েবাড়ি মাত্রেই তাই থাকছে তাক লাগানো স্যালাড কাউন্টার। লুচি আর কচুরি, রাধাবল্লভীর সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে নান, লাচ্ছা পরোটা, কুলচা। ভোজনরসিক মানুষ ইদানীং কমে গেছে। আধুনিক বর-কনে বেশ ডায়েট সচেতন। বিয়েবাড়ি মাত্রেই তাই থাকছে তাক লাগানো স্যালাড কাউন্টার। থাকছে নানাধরনের স্টার্টার শরবত, ফুচকা, চাট, ভেজ পকোড়া, কাবাব, মিনি ফ্রাই ইত্যাদি নানা আইটেম। ঘি ভাত, ফ্রায়েড রাইস, পোলাওয়ের বদলে জিরা রাইস, নিম্বু রাইস, হায়দরাবাদি বিরিয়ানি, সঙ্গে চিকেন রেজালা, মাটন ভিন্দালু, চিকেন ভুনা, দম আলু, পনির পসিন্দা, ফিশ ফ্রাই, ফিশ ব্যাটার ফ্রাই, ফিশ মুনিয়ে, কাবাব, কোর্মা কত কী। অভিজাত পরিবারে মকটেলের সঙ্গে থাকছে ককটেলের কাউন্টারও। শেষ পাতে বেকড রসগোল্লা, বেকড মিহিদানা, রাবড়ি, হট গুলাব জামুন উইথ ভ্যানিলা আইসক্রিম– সবটাই স্টাইলে মোড়া। রসনার পরিতৃপ্তির জন্য বাজেটে কম্প্রোমাইজ করছেন না কেউ।