দু’বছর আগে এই ডিসম্বরেই দলবদল করে নিজের গায়ে গদ্দারের তকমা লাগিয়ে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর থেকেই শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী এবং ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে কাঁথি থেকে শিশিরবাবু এবং তমলুক থেকে দিব্যেন্দু অধিকারী জিতেছিলেন। তৃণমূল বা সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা না দিলেও অধিকারী পরিবারের এই দুই সাংসদকে বিজেপির মঞ্চে দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘ডিসেম্বরে কিছুক্ষণের জন্য দরজা খুলে দেব’: ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা অভিষেকের
ছেলে শুভেন্দু বিজেপি নেতা হওয়ার পর শিশির অধিকারী তো প্রকাশ্যেই তৃণমূলের সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছে। বিধানসভা ভোটের আগে কাঁথির গোটা অধিকারী পরিবার বিজেপির হয়ে প্রচার করেছে। অমিত শাহের সভামঞ্চে দেখা গিয়েছে শিশিরবাবুকে। সম্প্রতি দলের হুইপ অমান্য করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিধানসভার না এসে দিল্লিতে গিয়ে ভোট দেন শিশির-দিব্যেন্দু। কিন্তু নৈতিকতা বোধ থেকে নিজেদের সাংসদ পদে এখনও ইস্তফা দেননি তাঁরা। সেটা নিয়েই কাঁথির সভা থেকে অধিকারী পরিবারের দুই সাংসদ সদস্যকে খোঁচা দিলেন অভিষেক। বললেন, ন্যূনতম মূল্যবোধ থাকলে ইস্তফা দিন। কাঁথি, তমলুকে ফের নির্বাচন হোক। ক্ষমতা থাকলে বিজেপির টিকিটে জিতে আসুন। শান্তিকুঞ্জ থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে দাঁড়িয়ে শিশির-দিব্যেন্দুকে অভিষেকের কটাক্ষ, তৃণমূলের টিকিটে জিতে এসে বিজেপির সঙ্গে “কানামাছি খেলা” বরদাস্ত করা হবে না।
এদিন শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দুকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, “আপনাদের যদি ন্যূনতম মূল্যবোধ থাকত, তাহলে বিজেপির মঞ্চে যাওয়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ইস্তফাপত্রগুলি তুলে দিয়ে আসতেন। তৃণমূলের টিকিটে জিতে এসে বিজেপির সঙ্গে কানামাছি ভোঁ ভোঁ! এসব চলবে না। সাহস থাকলে ইস্তফা দিন। কাঁথি এবং তমলুকে উপনির্বাচন হোক। ক্ষমতা থাকলে উপনির্বাচনে জিতে আসুন। মেদিনীপুরের মানুষের উপর যদি ভরসা থাকে তাহলে উপনির্বাচনে জিতে আসুন।”