প্রতিবেদন : হলদিয়া পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণুরামচক ও সৌতনপুর গ্রাম। ৩৪ বছরের বাম জমানা এবং পরবর্তীকালে অধিকারীরাজ পেরিয়ে এসে আজও বিদ্যুৎহীন দুটি গ্রাম। বারবার আবেদন জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই উঠে আসে এই তথ্য। জানতে পেরে রবিবার সকালে ওই গ্রামে গিয়ে গোটা পরিস্থিতি দেখেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যর সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ওখানে দাঁড়িয়েই তৎক্ষণাৎ ফোনে তা রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীকে জানান কুণাল (Aroop Biswas- Kunal Ghosh)। খবর পেতেই গ্রামে লোক পাঠান বিদ্যুৎমন্ত্রী। সেই সঙ্গে মিলল সমস্যা সমাধানের আশ্বাস। ঘটনায় খুশি গ্রামবাসীরা। শনিবার সন্ধ্যায় হলদিয়াতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এই ঘটনার কথা শোনার পর রবিবার সকালে তাঁদের অনুরোধে ওই গ্রামে যান কুণাল (Aroop Biswas- Kunal Ghosh)। সেখানে যেতেই তাঁকে ঘিরে ধরে নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন গ্রামবাসীরা। সাতসকালে কুণালকে হাতের কাছে পেয়ে গ্রামবাসীরা বলেন, দাদা এবার কিছু একটু করুন, আমরা খুব কষ্টে আছি। ভোট চলে গেলে কেউ ফিরেও তাকায় না। ঘুরে ঘুরে এলাকার অনুন্নয়নের ছবি দেখেন কুণাল। দুটি গ্রাম আজও বিদ্যুৎহীন। হলদিয়া বন্দর থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে কোথাও মাটির কাঁচা রাস্তা, কোথাও আবার অবহেলায় পড়ে অর্ধনির্মিত কংক্রিটের রাস্তা। এমন অনুন্নয়ন, বঞ্চনা এবং অবহেলার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা সরাসরি দায়ী করছেন শুভেন্দু অধিকারীকে। একই সঙ্গে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের অনুন্নয়নের জন্য প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামল আদকের দিকেও আঙুল তুলছেন তাঁরা। তারপরই গ্রামবাসীদের সামনেই বিদ্যুতের জন্য বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন কুণাল। অবিলম্বে দেখার অনুরোধ এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্যও বলেন। শুভেন্দু অধিকারীর জন্য পূর্ব মেদিনীপুর এবং হলদিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল যে এতদিন ঘুঘুর বাসা হয়েছিল, তা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যায়।