প্রতিবেদন : বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতাতেই রাজ্যসভার সাংসদ হতে চলেছেন সুস্মিতা দেব। বিজেপির তরফে এদিন জানিয়ে দেওয়া হয় তারা কোনও প্রার্থী দিচ্ছে না। ফলে রাজ্যসভায় সুস্মিতা দেবের জয় সুনিশ্চিত হয়ে গেল। নিয়মমাফিক ২৭ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন রয়েছে। যেহেতু আর অন্য কোনও প্রার্থী নেই, তাই ২৭ তারিখেই নির্ধারিত সময়ের পরেই জয়ের শংসাপত্র হাতে পেয়ে যাবেন সুস্মিতা দেব।
সোমবার সকাল সকালই বিধানসভায় চলে আসেন সুস্মিতা। মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের ঘরে বসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র শেষ মূহুর্তে আরও একবার খুঁটিয়ে দেখে নেন।সুস্মিতা দেবকে এ কাজে সহযোগিতা করেন, পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ ও সহকারী মুখ্য সচেতক তাপস রায়, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে আসেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিও।
আরও পড়ুন :রাজ্যসভায় মনোনয়ন সুস্মিতা দেবের, ‘চার্জ-আপ হবে ত্রিপুরা’
কোভিড বিধি মেনেই বেলা তিনটের আগেই মনোনয়নপত্র জমা দেন সুস্মিতা দেব।পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুস্মিতা বলেন, ২৭ তারিখেই তিনি ফের বিধানসভায় আসবেন জয়ের শংসাপত্র নিতে। উত্তর-পূর্ব থেকে অনেকদিন পরে একজনকে রাজ্যসভায় পাঠানোর জন্য দলেনত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান। সঙ্গে বলেন, এতে ত্রিপুরার মানুষ আরও উদ্বুদ্ধ হবে। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি ভয়ে প্রার্থী দেয়নি। যদি আরও কয়েকজন বেরিয়ে যায়। ওদের তো এখন বাধভাঙা অবস্থা।সুস্মিতা দেবের জয় সুনিশ্চিত হল। এখন সুস্মিতা দেবের রাজ্যসভায় পা রাখা শুধু সময়ের অপেক্ষা।