প্রতিবেদন : সেনাবাহিনীতেও দেশের শীর্ষ আদালতের (Supreme Court- Indian Army) নির্দেশই যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, সেনাবাহিনীতে এখনও মহিলারা সমান অধিকার পাচ্ছেন না। সুপ্রিম কোর্ট আগেই সেনাবাহিনীতে মহিলাদের স্থায়ীভাবে নিয়োগের ব্যবস্থা কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছিল। একমাত্র কমব্যাট উইং ছাড়া সেনাবাহিনীর সব স্তরেই মহিলাদের স্থায়ীভাবে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে সেনায় মহিলারাও যাতে পুরুষদের মতো সমান সুযোগ-সুবিধা পান, সে দিকেও নজর রাখতে বলেছিল।
সম্প্রতি ৩৪ জন মহিলা জওয়ান শীর্ষ আদালতে (Supreme Court- Indian Army) একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মহিলা জওয়ানরা তাঁদের আবেদনে অভিযোগ করেছেন, সেনায় এখনও তাঁদের সমানাধিকার নেই। শুধু পুরুষ জওয়ানদেরই পদোন্নতি হয়। কমব্যাট ও কম্যান্ডিং অফিসার পোস্টে কোনও মহিলা জওয়ানকে ঠাঁই দেওয়া হয় না। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পিএস নরসীমার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। শুক্রবার মামলার শুনানিতে বেঞ্চ বলে, তাঁরা মনে করছেন সেনায় মহিলারা এখনও সমানাধিকার পাচ্ছেন না। বিষয়টি খুবই উদ্বেগের। তাই এ বিষয়ে বাহিনীর বক্তব্য জানতে চেয়েছে বেঞ্চ।
আরও পড়ুন-রাজ্যপালকে আচার্য পদ থেকে সরাতে বিল পেশ
উল্লেখ্য, ভারতীয় সেনায় চিকিৎসা পরিষেবার বাইরে অন্য ক্ষেত্রে মহিলাদের নিয়োগ শুরু হয় ১৯৯২ সালে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত স্থায়ী কমিশনড অফিসার পদে অর্থাৎ কুড়ি বছর কাজ করার সুযোগ মহিলারা পাননি। পদোন্নতি বা পেনশনের আশা না করে শুধু ১৪ বছর কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন মহিলারা। তবে এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করে সশস্ত্র বাহিনীতে যুদ্ধ করার এবং কম্যান্ডিং অফিসার পদে নিযুক্ত হওয়ার অধিকার আদায় করেছিলেন সশস্ত্র বাহিনীর ৫৭ জন মহিলা জওয়ান। পরবর্তী ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছিল, সেনাবাহিনীতে মহিলাদের নিযুক্তি এক প্রগতিশীল পদক্ষেপ। নারীরা আজ কোনওভাবেই পিছিয়ে নেই। তাই বাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনওরকম বৈষম্য চলবে না।