প্রবীর ঘোষাল, দোহা, ১২ ডিসেম্বর : কাতারে এসেও টের পাচ্ছি, বাঙালির ফুটবল আবেগ। ‘ধন্যি মেয়ে’ সিনেমার ওই গান বিমানে এক বাঙালির মোবাইলে বাজছিল। যাত্রীদের মধ্যেও সিংহভাগ তারাই। রবিবার রাতে দমদম এয়ারপোর্টে লাউঞ্জে দেখলাম, বাগুইহাটির চঞ্চল মিত্রর সঙ্গে মেদিনীপুরের অশোক হাজরার তুমুল তর্ক চলছে। দু’জনে বন্ধু। বিশ্বকাপের দুটি সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল দেখতে তাঁরা সদলবলে দোহায় চলেছেন। চঞ্চল-অশোকের তর্কের বিষয় হল, মেসি! পারবে কি আর্জেন্টিনা কাপ জিততে?
আরও পড়ুন-সিবিআই হেফাজতে অস্বাভাবিক মৃত্যু বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের
বিমানের অধিকাংশ যাত্রীই বাঙালি। তাদের মধ্যেও মেসি-এমবাপের আলোচনায় কান ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছিল। অনেকে খেলা দেখে দেশে ফিরে গেলেও, এখনও কলকাতা থেকে কাতারে কাতারে বাঙালি আসছে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বের খেলা দেখতে কাতারে। আগের দিন অর্থাৎ, শনিবার রাতে কাতার এয়ারলাইন্সের দোহাগামী বিমানে ৮২ জন যাত্রী ছিলেন কলকাতার। সোমবার হামিদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে কলকাতা থেকে আগত বন্ধুদের রিসিভ করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন হাকিম আলি। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে বাড়ি। চল্লিশোর্ধ্ব হাকিম ১১ বছর দোহার বাসিন্দা। শহরের নামকরা হাসপাতালে চাকরি করেন। চোখের সামনে বিশ্বকাপকে ঘিরে কাতারের রাজধানীকে সেজে উঠতে দেখলেন।
এবার কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে সবচেয়ে বেশি লোক এসেছেন সৌদি আরব থেকে। তারপরই ভারত।
আরও পড়ুন-শিলংয়ে মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে অভিষেক, অভ্যার্থনা জানালেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা
প্রায় এক লক্ষ। আর বাঙালির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। হাকিম বলছিলেন, যে দেশগুলো খেলতে এসেছে, তাদের দর্শকদের বেশি করে টেলিভিশনে দেখাচ্ছে। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাঙালিরাও যে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার পতাকা হাতে, পছন্দের দলের জার্সি পরে হাজারে হাজারে এসেছেন, সেটাও আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। তাঁদের মধ্যে সবাই যে হোটেল-অ্যাপার্টমেন্টে উঠেছেন তা কিন্তু নয়। অনেকেই বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের ডেরায় থেকেছেন। কষ্টও করছেন। আসলে বাঙালি তো ফুটবল পাগল!