নয়াদিল্লি : সংসদে অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ নিয়ে আলোচনায় তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় বারবার আঘাত হানছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু তাই নয়, বিরোধী শাসিত রাজ্য বলে পশ্চিমবঙ্গকে বারবার টার্গেট করা হচ্ছে এবং তাকে অর্থনৈতিকভাবে অবরুদ্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, গণতন্ত্রে সহযোগিতাপূর্ণ ব্যবহারের জন্য এই সরকার কতটা বিশ্বাস করে?
আরও পড়ুন-বাবাকে ৩২ টুকরো করে মারল ছেলে
রাজ্যের বিভিন্ন বকেয়া পাওনাগণ্ডা এবং অর্থনৈতিক বঞ্চনা নিয়েও সরব হন তিনি। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের বকেয়ার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে যে পাঁচটি চিঠি দিয়েছিলেন তার বিষয়বস্তু তুলে ধরেন তৃণমূল সাংসদ। বলেন, গত ৮ মাস ধরে মনরেগা ফান্ড বন্ধ রয়েছে৷ আমি নিজে দশজন সাংসদকে নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে কথা বলে এসেছিলাম। সেই দলে ছিলেন সাংসদ সৌগত রায়ও। পরবর্তীকালে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রীও দেখা করে এসেছিলেন গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে। অথচ এখনও পর্যন্ত ৬,৫০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে৷ তার জন্য আমি অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আরও পড়ুন-পাওয়ারকে হুমকি ফোন
এদিনের বক্তৃতায় পশ্চিমবঙ্গের গোবিন্দভোগ চাল থেকে আদমানি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা। বাজেটের অতিরিক্ত বরাদ্দ নিয়ে আলোচনায় তিনি বলেছেন, বাসমতী চাল ২০ শতাংশ আমদানি শুল্কের বাইরে রয়েছে। গোবিন্দভোগ চালের ক্ষেত্রেও একই কাঠামো চালু করা হোক। সুদীপের দাবি, এর ফলে কয়েক হাজার কৃষক উপকৃত হবেন। নিজের বক্তব্যে মালদা, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার নদীভাঙন সমস্যা তুলে ধরেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বলেন, এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ৷ ভাঙনের ফলে বহু মানুষ নিত্য সমস্যায় পড়ছেন৷ এই বিষয়ে সভায় আলোচনা করা হোক৷ তৃণমূল সাংসদের মন্তব্য, স্বাধীনতার পর থেকেই পূর্বাঞ্চল সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত৷ আর সেই বঞ্চনার তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ৷ রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের আচরণ বৈষম্যমূলক৷