প্রতিবেদন : আবাস যোজনার উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করতে গিয়ে আশা কর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা যাতে কোনও সমস্যায় না পড়েন প্রশাসনকে তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে তাদের সমীক্ষা করতে পাঠাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
আরও পড়ুন-হাজরায় বিজেপিকে দশ গোল তৃণমূল কংগ্রেসের
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে মুখ্যসচিব মঙ্গলবার বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক এবং বিভাগীয় অতিরিক্ত জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই তিনি এই নির্দেশ দিয়েছেন। আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির সমীক্ষার কাজে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। সেই কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন জেলায় আশাকর্মীদের হেনস্তার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। সোমবার বসিরহাটের স্বরূপনগরের আইসিডিএস কর্মী রেবা বিশ্বাস রায়ের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনার পর তা নতুন মাত্রা যোগ করে। আবাস প্রকল্পের সমীক্ষা করার কাজে যোগ দেবেন না বলে আন্দোলন শুরু করেছেন আশাকর্মীরা। মঙ্গলবার আশাকর্মীরা ওয়েলিংটন থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেন।
আরও পড়ুন-জমিদাতারা চান তৃণমূলের হস্তক্ষেপ
বেশ কিছু জেলায় আবাস প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে মুখ্যসচিব এদিনের বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কোচবিহার, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ বেশ কয়েকটি জেলার কাজের অগ্রগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যসচিব। পাশাপাশি আবাস যোজনার নিয়ম মেনে তালিকা তৈরি না করার জন্যও কয়েকটি জেলাকে তিনি সতর্ক করে দেন। এদিনও মুখ্যসচিব স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, পাকা বাড়ি রয়েছে এমন উপভোক্তা কোনওভাবেই আবাস যোজনার বাড়ি পাবেন না। যদি নাম উঠে থাকে দ্রুত তা বাতিল করার নির্দেশ দেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি নির্দেশ দেন, কোনও প্রভাবশালীর কথা শুনে চলা যাবে না।
আরও পড়ুন-জমিদাতারা চান তৃণমূলের হস্তক্ষেপ
সেজন্য যেখানে যেখানে ঝামেলা হচ্ছে, সেখানে সেখানে জেলাশাসকদের যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনও আইনশৃঙ্খলার অবনতির খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য সরকারকে তা জানাতে হবে। জেলা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার ওপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। মুখ্যসচিব স্পষ্ট জানিয়ে দেন, প্রকল্প সংক্রান্ত যা নিয়মকানুন রয়েছে, তা মানতেই হবে। যে উপভোক্তারা বেআইনিভাবে বাড়ি পেয়েছেন, তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের কি না বা কোনও প্রভাব খাটাচ্ছেন কি না তাও নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।