মাধ্য়মিক পাশ না করেও প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ ছিল ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভার ভাইস চেয়ারম্য়ান দেবজ্য়োতি ঘোষের (Debojyoti Ghosh) বিরুদ্ধে। এরপর আদালতে গিয়ে নিজের যোগ্যতার সব প্রমাণ দেখান তিনি। সব বুঝে মামলা খারিজ করে দেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় (Abhijit Ganguly)। কিন্তু দোষী শাস্তি পেয়েছে। মামলাকারীকে এবার ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ক্ষুব্ধ বিচারপতি।
আরও পড়ুন-আবাস-তালিকা যাচাইয়ে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার
সম্প্রতি দেবজ্য়োতি ঘোষের বিরুদ্ধে অযোগ্য হওয়া চাকরি পাওয়ার অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন কোয়েনা দাস নামে এক চাকরিপ্রার্থী। তিনি অভিযোগ করেন, পাসপোর্টের নথি অনুযায়ী মাধ্য়মিক পাস করেননি দেবজ্য়োতি। অথচ তিনি উত্তর চব্বিশ পরগনার একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। পাশাপাশি, সরকারি বেতন পাওয়া সত্ত্বেও পুরসভার ভাইস চেয়ারম্য়ান হিসেবেও মাসে ১৭ হাজার টাকা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে নথি নিয়ে দেবজ্যোতিকে সশরীরে হাইকোর্টে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়। সেই মতো যাবতীয় নথি সমেক আদালতে যান তৃণমূল নেতা। সব নথি খতিয়ে দেখে দেবজ্য়োতির বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দেন বিচারপতি। জানান, প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার সমস্ত যোগ্য়তা রয়েছে দেবজ্য়োতির। পরে তিনি জানান, ২০১০ সালে চাকরি পেয়েছেন। সুতরাং শাসকদলের নেতা হিসেবে প্রভাব খাটানোর প্রশ্ন ওঠে না। দলের ভাবমূ্তি নষ্ট করতেই এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন-টিকিট চাই, দিতে পারেন?
আদালতকে ভুল তথ্য় দেওয়ার জন্য় মামলাকারী কোয়েনা দাসকেই ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়। জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্য়ে এই জরিমানার টাকা জমা দিতে হবে মামলাকারীকে