প্রতিবেদন : রাজ্যের (New Voter- West Bengal) ভোটার তালিকায় যুক্ত হল আরও ১৩ লক্ষের বেশি নতুন নাম। আর কয়েক মাসের মধ্যেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ওয়ার্ম আপ শুরু করে দিয়েছে সব রাজনৈতিক দল। এই নতুন ভোটারদের মন জয় করতে এবার বাড়তি পরিশ্রম করতে হবে তাদের। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৯ নভেম্বর থেকে চলতি মাসের ৮ তারিখ পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে চলেছে ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া। এই সময়কালে বিপুল সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে। এর মধ্যে একটা বড় অংশই হবু ভোটার, যাঁরা প্রথমবার নাম তুলতে চাইছেন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারে ভোটার তালিকায় নতুন (New Voter- West Bengal) নাম তোলা এবং বিভিন্ন সংশোধনীর জন্য প্রায় ৩২ লক্ষ ফর্ম পড়েছে। তার মধ্যে সাড়ে ১৩ লক্ষ নাম নতুন তথা হবু ভোটারদের। আগেই ১৮ বছর পূর্ণ হয়ে গিয়েছে এমন ফর্মই জমা পড়েছে ১০ লক্ষের মতো। জানুয়ারি মাসে ১৮ বছর পূর্ণ হবে এমন ফর্ম জমা পড়েছে সাড়ে ৩ লক্ষ। সব মিলিয়ে রাজ্য জুড়ে সাড়ে ১৩ লক্ষ নতুন ভোটার যুক্ত হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের ভোটার তালিকায়। এটা ঠিক কথা যে এই নতুন ভোটারদের মধ্যে সবাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় থাকে না। কিন্তু তারপরেও যে অংশটা থেকে যায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে কোনও আসনের ফলাফল বদলে দেওয়ার পক্ষে সেটা বেশ যথেষ্টই। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছর থেকেই প্রতি বছরে দেশের নাগরিকদের বছরে ৪ বার সুযোগ দেওয়া হবে ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য। সেই হিসাবে মার্চ-এপ্রিল মাসেও আরও একবার সুযোগ থাকবে ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য। যদিও জানুয়ারি মাসে যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা বার হবে সেই তালিকা দিয়েই পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। অর্থাৎ কমবেশি প্রায় ১০ লক্ষ নতুন ভোটার এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রথমবার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে রাজ্য জুড়ে এবারে ভোটার তালিকায় নতুন নাম তোলা এবং বিভিন্ন সংশোধনীর জন্য প্রায় ৩২ লক্ষ ফর্ম পড়েছে। তার মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় সর্বাধিক আবেদন জমা পড়েছে। সেখানে সংখ্যাটা হল ৪ লক্ষ ৮৬ হাজার। তারপরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে আবেদন জমা পড়েছে ৪ লক্ষ ২১ হাজার। এই দুই জেলা থেকেই আবার সব থেকে বেশি নতুন নাম যুক্ত করার জন্য আবেদন জমা পড়েছে। ঘটনাচক্রে এই দুটি জেলাই বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাঁটি হিসাবে পরিচিতি পেয়ে গিয়েছে, বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। ভােটার বৃদ্ধির এই প্রবণতা গণতন্ত্রের পক্ষে নিঃসন্দেহে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর বলে কমিশনের বক্তব্য।