সংবাদদাতা, কোচবিহার : নিজেদের পিঠ বাঁচাতে মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে বিজেপি। মিথ্যা প্রমাণ হতেই অভিযুক্ত বিজেপির তিন নেতা মানহানি মামলা থেকে বাঁচতে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন। ঘটনাটি কী? তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের বিরুদ্ধে বিজেপির নেতাদের কুরুচিকর অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায়, চিরঞ্জিত দাস ও অজয় রায়ের নামে উকিল নোটিশ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন-কুলিক পক্ষীনিবাসে পিকনিকে নিষেধাজ্ঞা জারি
সেই নোটিশ পাওয়ার পর বিজেপির জেলা সভাপতি ও বাকি দুই বিজেপি নেতা উকিল মারফত ক্ষমা চান। অভিজিৎ দে ভৌমিকের কাছে ক্ষমা চেয়ে তাঁরা চিঠি দিয়ে বলেন, আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। আলিপুরদুয়ার আদালত সোনার দোকানে চুরির মামলায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। এর ফলে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে এমনিতেই কোণঠাসা হয়ে সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে বিজেপি। এরপর বিজেপির জেলা সভাপতি সহ বিজেপির ৩ নেতার ক্ষমা চাওয়ার ঘটনায় আরও ব্যাকফুটে বিজেপি।
আরও পড়ুন-শিলিগুড়ির উন্নয়নে স্কিম ব্যাঙ্কের ভাবনা
এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে মিথ্যে শব্দগুলি তাঁরা ব্যবহার করেছেন, সে কারণে আমরা আইনি নোটিশ করেছিলাম। তারা নোটিশের মাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছে। এটা আমার নৈতিক জয়। তাদের প্রকাশ্যে মানুষের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে রাজ্য নেতৃত্বের পরামর্শ নিয়ে মানহানির মামলা ফাইল করা হবে। এ বিষয়ে জেলা লিগ্যাল সেলের সভাপতি, আইনজীবী শিবেন্দ্রনাথ রায় বলেন, বিজেপির তিন নেতার মিথ্যাচারের অভিযোগে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা নোটিশের মাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছেন।