প্রতিবেদন : দূষণের কারণে নভেম্বরের শুরু থেকেই দিল্লির আকাশ মুখ ঢেকেছে কুয়াশায়। এরই মধ্যে যোগ হয়েছে শীতের আমেজ। সকালের দিকে কুয়াশার চাদরে মুখ ঢাকছে দেশের বিভিন্ন রাজ্য। তবে কুয়াশার প্রভাব বেশি পড়েছে রাজধানী দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে। কুয়াশার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন দিল্লিবাসী। বিঘ্নিত হচ্ছে রেল চলাচল। বিমান চলাচলের ক্ষেত্রেও কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে বিমান চলাচলে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে জন্য আগাম নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। সোমবারের পর মঙ্গবার সকালেও দিল্লিতে ছিল ঘন কুয়াশা। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, খালি চোখে ১৫০ মিটার দূরত্বের পর আর কিছু দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। এর ফলে রেল চলাচলেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। সমস্যা দেখা দিয়েছে সড়ক পরিবহণেও।
আরও পড়ুন-তৃণমূল জমানায় মাওবাদী সমস্যা মুক্ত হয়েছে বাংলা, জানাল কেন্দ্র
রেলের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার ও মঙ্গলবার সকালে প্রায় ২০টি ট্রেন দেরি করে ছেড়েছে। কোনও ট্রেন ১৫ মিনিট আবার কোনও ট্রেন ছাড়তে দু’ঘণ্টা দেরি হয়েছে। দিল্লিগামী একাধিক ট্রেন অনেক বিলম্বে এসে পৌঁছেছে। বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিলও করতে হয়েছে।
নর্দার্ন রেলওয়ের এক আধিকারিক বলেছেন, কুয়াশার কারণে যাত্রীদের অসুবিধা এড়ানোর জন্য রেলের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য স্পিড রেসট্রিকশন লাগানো হয়েছে। কোনও ট্রেন ছাড়তে দেরি হলে আগে থেকেই তা স্টেশনে ঘোষণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-দেশে এমবাপেদের বীরের সম্মান
বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই জন্য আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মধ্যরাত থেকে ৪ ঘণ্টার জন্য বিমানবন্দরের এলভিপি (লো ভিজিবিলিটি প্রসিডিওর্স) মেনে চলা হচ্ছে। ফলে যাত্রীদের এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে পাঞ্জাব থেকে উত্তরপ্রদেশের পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত কুয়াশার পুরু চাদর ছেয়ে রয়েছে। আগামী ৫ দিনে উত্তর-পশ্চিম ভারতে কুয়াশা আরও বাড়তে পারে। বিশেষত দিল্লি, পাঞ্জাব, চণ্ডীগড়, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন অঞ্চলে ঘন কুয়াশা দেখা যাবে। এর ফলে সড়কপথেও যান চলাচলে সমস্যার সম্ভাবনাও রয়েছে। পাশাপাশি সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট এমনকী চোখের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।