চেতলার সভা থেকে বুধবার তৃণমূল নেত্রী কড়া ভাষায় বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন। তাঁর কথায়, “ভবানীপুরেও বহিরাগতরা ঢুকে পড়েছে। ভিতরে কেউ নেই। শুধু বহিরাগতরা প্রচার করছে। ভোটের আগেও গোটা কেন্দ্রীয় সরকারের বাবুরা ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেছিলেন। এবার আবার গ্যাস মন্ত্রীকে পাঠিয়েছে। পেট্রোল-ডিজেল-রান্নার গ্যাসের দাম আকাশ ছোঁয়া, আর গ্যাসমন্ত্রী এখানে ভোট প্রচারে এসেছেন। ওঁদের জিজ্ঞেস করুন, মানুষের জন্য কী করেছে? বলুন, আগে গ্যাসের দাম দিয়ে যান, তার পর ভোট চান। কোনও লাভ হবে না। ভবানীপুরের মাটি নেতাজি, চিত্তরঞ্জন দাসদের মতো মহান মনিষীদের জন্মভূমি, কর্মভূমি। এই ভোট মিটলেই অন্য রাজ্যের জন্য ঝাঁপাব। খেলাও হবে, দিল্লিও দখল হবে।”
আরও পড়ুন-স্বাস্থ্যসাথী
কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে বুধবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর বুথে গিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন। তাই জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপিকে খোঁচা দেন তৃণমূল নেত্রী।
একইসঙ্গে তিনি জানান, চেতলায় “সৌজন্য” সৌধ হয়েছে। তাঁর কথায়, “বিদেশিদের সৌজন্য দেখানো হবে, তার জন্য সৌধ হয়েছে চেতলায়। সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামের আদলে নাম “ধনধান্য” করেছি। তারও আগে আমরা “উত্তীর্ণ” করেছি। অৰ্থাৎ, উত্তীর্ণ, সৌজন্য, ধনধান্য সহাবস্থান চেতলায়। এখানে আমার প্রশাসনের চিফ সেক্রেটারি থাকেন, ডিজি থাকেন। সব প্রশাসনের ব্যক্তিরা থাকেন। অর্থাৎ, প্রকৃত অর্থে চেতলায় একবারে আপনাদের ঘরের ধারে দুয়ারে সরকার”। সবমিলিয়ে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেতলার নির্বাচনী সভায় নিজেকে ঘরের মেয়ে হিসেবে তুলে ধরেন।