প্রতিবেদন: বিভাজন বিপজ্জনক। আমরা বিভাজন করি না, আমরা ঐক্য চাই। আসুন আমরা সকলে মিলে প্রার্থনা করি পৃথিবীতে যেন শান্তি বজায় থাকে। সকলের ভাল হোক। বুধবার পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেন পার্কে কলকাতা ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে এভাবেই বিশ্বশান্তির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Christmas- Mamata Banerjee)। এদিন কলকাতার পাশাপাশি একইসঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনও করলেন মুখ্যমন্ত্রী। দার্জিলিং, কালিম্পং, চন্দননগর, ব্যান্ডেল, কৃষ্ণনগর, বারুইপুর, আসানসোল, বিধাননগর ও ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকাতেও উৎসবের সূচনা হল। সব ক’টি জায়গাতেই পার্ক স্ট্রিটের মতো আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে। পর্যটনকে সামনে রেখেই রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ। যে কারণে এদিন অ্যালেন পার্কে উৎসবের সূচনামঞ্চে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, কলকাতার আর্চ বিশপ রেভারেন্ড থমাস ডিসুজা, রেভারেন্ড পরিতোষ কানিং, কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ফাদার ফেলিক্স রাজ, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পর্যটনমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও পর্যটনসচিব সৌমিত্র মোহনও। অ্যালেন পার্কের অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রী যান সেন্ট জেভিয়ার্সে। সেখানেই ফাদারদের সঙ্গে ক্রিসমাস কেক কাটেন। সেখানে নাম না করে কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Christmas- Mamata Banerjee)। বলেন, আগে ২৫ ডিসেম্বর জাতীয় ছুটি ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার তা বাতিল করে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের রাজ্য সরকার ২৬ ডিসেম্বর ছুটি ঘোষণা করেছি। কারণ ২৫ ডিসেম্বর রবিবার পড়েছে। একই সঙ্গে তাঁর বার্তা, আমি কখনও অহংকারীর কাছে মাথা নত করব না। যদি মাথা নত করতেই হয় তাহলে করব দেশের কৃষকদের কাছে, ছাত্রদের কাছে, অসহায় মানুষদের কাছে। সেন্ট জেভিয়ার্স কর্তৃপক্ষ এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাদের অ্যালামনি ঘোষণা করে। এতে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সবসময় তিনি ছিলেন-আছেন-থাকবেন।
আরও পড়ুন-বিজেপির দুই ভাড়াটে সেনা কংগ্রেস ও সিপিএম
এদিনও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। বাংলায় বারো মাসে তেরো পার্বণ। কোনও না কোনও উৎসব লেগেই আছে। আর আমি সব ধর্মের অনুষ্ঠানেই যাই। এরপরেই তাঁর সংযোজন, হে প্রভু আমাদের শক্তি দাও-ভক্তি দাও। অন্ধকার থেকে সকলকে আলোর মুখে এনে দাও। বুধবার অ্যালেন পার্কে দাঁড়িয়ে গোয়ার স্মৃতিচারণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, আমি গোয়ায় সেন্ট জেভিয়ার্সে গিয়েছিলাম। আমার এখনও গাঁয়ে কাঁটা দেয়।
সেন্ট জেভিয়ার্সের অনুষ্ঠানমঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুয়ারে সরকার, কন্যাশ্রী, বাংলার দুর্গাপুজোর বিশ্বজনীন সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। ছাত্র-ছাত্রীদের বলেন জীবনে যা-ই ঘটুক সবসময় পজিটিভ থাকবে। অ্যালেন পার্ক ও সেন্ট জেভিয়ার্সের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধাননগর কর্পোরেশনের চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী, মন্ত্রী সুজিত বোস, সব্যসাচী দত্ত, সায়ন্তিকা, আইনজীবী বিশ্বজিৎ দেব-সহ অন্য অভ্যাগতরা।