ভারতের প্রথম মুসলিম মহিলা ফাইটার পাইলট (IAF Fighter Pilot- Sania Mirza) হিসেবে নাম লেখালেন সানিয়া মির্জা। এই সানিয়া মির্জা কিন্তু টেনিস তারকা নন। সানিয়া উত্তর প্রদেশের মির্জাপুরের একজন টিভি মেকানিকের মেয়ে। তিনিই ভারতীয় বিমান বাহিনীতে ফাইটার পাইলট হওয়ার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। সানিয়া দেশের প্রথম মুসলিম মেয়ে এবং উত্তরপ্রদেশের প্রথম আইএএফ পাইলট হবেন। সানিয়া মির্জাপুর দেহাত কোতোয়ালি থানার যশোভার গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এনডিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এই যোগ্যতা অর্জন করেন। আগামী ২৭ ডিসেম্বর সানিয়া পুনের এনডিএ খাড়কওয়াসলায় যোগ দেবেন। অভিভাবকদের পাশাপাশি গ্রামবাসীরাও তাকে নিয়ে গর্বিত।
মেয়ের এমন কৃতিত্বে সানিয়ার বাবা শহিদ আলি বলেছেন, সানিয়া দেশের প্রথম ফাইটার পাইলট অবনী চতুর্বেদীকে তার রোল মডেল মনে করে। শুরু থেকেই সে তাঁর মতো করে নিজের কেরিয়ার বানাতে চেয়েছে। সানিয়াকে স্বাধীনভাবে বড় হতে দেওয়া হয়েছে। সানিয়া দেশের দ্বিতীয় মহিলা যিনি ফাইটার পাইলট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
সানিয়ার মা তাবাসসুম মির্জা বলেন, “আমাদের মেয়ে আমাদের এবং পুরো গ্রামকে গর্বিত করেছে। সে প্রথম ফাইটার পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছে। সে গ্রামের প্রতিটি মেয়েকে তাদের স্বপ্ন অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত করেছে।”
আরও পড়ুন: আজ কোচিতে আইপিএলের মিনি নিলাম
সানিয়া মির্জা নিজের গ্রামের পণ্ডিত চিন্তামণি দুবে ইন্টার কলেজে প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। এরপর তিনি শহরের গুরু নানক গার্লস ইন্টার কলেজে যান। তিনি দ্বাদশ শ্রেনির ইউপি বোর্ডের পরীক্ষায় নিজের জেলার শীর্ষস্থান অধিকার করেছিলেন। সেঞ্চুরিয়ান ডিফেন্স একাডেমিতে তার প্রস্তুতি শুরু হয়।
এমন কৃতিত্বের পর সানিয়া (IAF Fighter Pilot- Sania Mirza) বলেন, “জাতীয় প্রতিরক্ষা অ্যাকাডেমি ২০২২-এর পরীক্ষায় ফাইটার পাইলটের মহিলাদের জন্য মাত্র দুটি আসন সংরক্ষিত ছিল। আমি প্রথম চেষ্টায় একটি আসন দখল করতে পারিনি, তবে আমি আমার দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় একটি জায়গা পেয়েছি।”