সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : “শিবঠাকুরের আপন দেশে, আইনকানুন সর্বনেশে!” সুকুমার রায়ের এই কবিতার মতোই অদ্ভুত নিয়মকানুন বিশ্বভারতীতে। তা না হলে একজন মাস্টার্স পাশ করা প্রাক্তন ছাত্রকে কী করে সাসপেন্ড করতে পারে বিশ্বভারতীতে। উপচার্যের এই তুঘলকি সিদ্ধান্তে আবারও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিস্মিত আশ্রমিকরা।
আরও পড়ুন-পর্যটকদের পাশে থাকবে ট্যুরিস্ট বন্ধু
একজন প্রাক্তন ছাত্রকে উপাচার্য সাসপেন্ড করলেন? প্রাক্তন ছাত্রটির নাম সৌরভবন্ধু দাস। তিনি বিশ্বভারতীর বিদ্যাভবনের ইতিহাস বিভাগের ছাত্র। সৌরভবন্ধু দাস বলেন, ছাত্র আন্দোলনে আমার সহানুভূতি আছে। আমি উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু এই বছর জুলাই-অগাস্টে আমার রেজাল্ট বের হয়। প্রায় পঁয়ষট্টি শতাংশ পেয়ে মাস্টার্স পাশ করেছি। আমার কাছে কী করে এই সাসপেন্ডের চিঠি আসে বুঝি না। চিঠিতে লেখা রয়েছে যে, আগামী বছরের পনেরো জানুয়ারি থেকে এক বছরের জন্য আমাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কীরকম অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড! এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করা হলে তিনি বলেন, এরকম ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। প্রবীণ আশ্রমিক সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একটি উন্মাদ লোক বিশ্ববিদ্যালয় চালাচ্ছেন। বাকিগুলো সব তাঁবেদার। তাদের উপর বেশি রাগ হচ্ছে। তারা কী করছে। এসব কী করে হয়? আসলে উপাচার্যের সাসপেন্ড রোগ হয়েছে।