সংবাদদাতা, হাওড়া : পুরনো ট্রেনের ট্র্যাক। যেখানে বেশি গতি নিয়ে দৌড়নো সম্ভব নয়। কিন্তু সেই ট্র্যাকেই তড়িঘড়ি সুপারফাস্ট বন্দে ভারত এক্সেপ্রেস চালানোর সিদ্ধান্ত নিল রেল। বলা যায় এ রেলের শতাব্দীর প্রহসন। শতাব্দীর থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ৪৫ মিনিট কম সময় লাগবে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছতে।
আরও পড়ুন-দেবকে ডুবিয়েছেন
রেল ট্র্যাকের পরিকাঠামো উন্নত না হওয়ায় ঘণ্টায় ১৮০ কিমি গতিবেগে ছুটতে পারবে না হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সোমবার ট্রায়াল রানের সময়েও ৯০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গড়ে ছুটেছে এই ট্রেন। মালদা থেকে অবশ্য কিছুটা রাস্তা ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে চলেছে এই ট্রেন। সাড়ে ৭ ঘণ্টায় হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। মাঝে মালদা টাউন স্টেশনে দাঁড়াবে। বর্তমানে শতাব্দী এক্সপ্রেসে ৮ ঘণ্টা ১৫ মিনিটে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছনো যায়। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানান, ‘‘ট্রেনপথে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসেই সবচেয়ে তাড়াতাড়ি হাওড়া থেকে এনজেপি পৌঁছনো যাবে। আপাতত সাড়ে ৭ ঘণ্টা সময় লাগলেও কিছুদিন পরে আরও কম সময় লাগবে।
আরও পড়ুন-দেবকে ডুবিয়েছেন
সেজন্য রেল ট্র্যাকের উন্নতি করা হচ্ছে। বেশকিছু জায়গায় পরিবর্তন করা হচ্ছে রেল ট্র্যাক। পরিকাঠামো আরও উন্নত করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে যে পরিকাঠামো রয়েছে তাতে সর্বাধিক যত দ্রুতগতিতে চলা সম্ভব তত স্পিডেই ছুটব বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। পরিকাঠামোর উন্নতি হলে স্পিড আরও বেড়ে যাবে। হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে যাতায়াতের সময় আরও কমে আসবে।’’ আপাতত ঠিক হয়েছে সপ্তাহে ৬ দিন(রবিবার বাদে) ভোর ৬টায় হাওড়া থেকে ছেড়ে দুপুর ২টো ৩০ মিনিটে এনজেপি পৌঁছবে ট্রেনটি। তারপর দুপুর ৩টে ৫ মিনিটে ছেড়ে রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে হাওড়ায় আসবে। ৫৭০ কিমি পথে যাতায়াতের মধ্যে ট্রেনটিতে আলাদা করে কোনও ইঞ্জিন লাগানো হবে না। ১৬টি বগি থাকছে। সবগুলিই শীতাতপ-নিয়ন্ত্রিত। ভাড়া এখনও ঠিক হয়নি। ভাড়ার সঙ্গে যাত্রীদের খাবারের মূল্যও ধরা থাকবে। সোমবার ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে হাওড়া স্টেশনের ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রায়াল রানের জন্য রওনা দেয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।