প্রতিবেদন : এ কেমন পৌষমাস? শহরজুড়ে এখন একটাই আলোচনা। বড়দিন পেরিয়ে গেলেও যেখানে দেখা মিলল না শীতের। মাঝে একবার উপস্থিত বলে উধাও হয়ে গেল সে। রবিবার বড়দিনে তাপমাত্রা একধাক্কায় ৩ ডিগ্রি বেড়ে গিয়েছিল। সোমবার থেকে পারদ নামার পূর্বাভাস হাওয়া অফিস দিলেও তা মেলেনি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন-পুরনো ট্র্যাকেই ছুটবে কম গতিতে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস
তবে নতুন বছরের শুরুতেই কনকনে ঠান্ডার আমেজ পাবেন শহরবাসী, এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। এদিকে উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিদিন পারদ পতনের জেরে শীতে জবুথবু মানুষ। আবহাওয়া দফতরের খবর অনুসারে, সোমবার দিল্লি এনসিআর–এর কিছু জায়গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজস্থান, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড ও উত্তরপ্রদেশেও ৫ থেকে ৭ ডিগ্রির মধ্যেই ঘোরাফেরা করেছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। রাজস্থানের চুরুতে রেকর্ড শূন্য ডিগ্রিতে নেমে যায় পারদ। অন্যদিকে, সর্বাধিক তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি অতিক্রম করতে পারেনি। বিহারেও শৈত্যপ্রবাহের জেরে বছরের শেষ অবধি সমস্ত স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-দেবকে ডুবিয়েছেন
এমনকী আগামী কয়েকদিনে সামান্য তাপমাত্রা বাড়লেও, শীতের দাপট বহাল থাকবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে পাঞ্জাব থেকে দিল্লি, রাজস্থান থেকে উত্তরপ্রদেশ, সর্বত্রই দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে কুয়াশা। যদিও গোবলয়ে ঠান্ডার রেশ রয়েছে। ভোরের দিকে কুয়াশার জন্য দৃশ্যমান্যতা কমার ফলে যান চলাচলে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে বেলা বাড়তেই কুয়াশা কমে যায়। আগামী কয়েকদিন কলকাতা সহ শহরতলির তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। হাওয়া অফিসের সেরকমই অনুমান।