প্রতিবেদন : রাজ্য সরকার বাস ভাড়া (Bus Fare) বাড়ানোর কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। চার বছর আগের নির্ধারিত ভাড়াই নিতে হবে বেসরকারি বাস ও মিনিবাসকে। অতিরিক্ত ভাড়া যাতে না নেওয়া হয় তা নিশ্চিত করা হবে। কোনও বাস বাড়তি ভাড়া নিলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। বুধবার এ সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা জমা দিয়ে এ কথা জানাল রাজ্যের পরিবহণ দফতর। করোনা কালের পর যাত্রীদের তরফে বারবার অভিযোগ উঠেছে, প্রায় সব বেসরকারি বাস ও মিনিবাস খেয়াল খুশি মতো ভাড়া নিচ্ছে। ফলে গন্তব্যে যেতে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। সমস্যায় পড়ছেন যাত্রীরা। এই অভিযোগ জানিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই রাজ্যের কাছে হলফনামা চেয়েছিল হাইকোর্ট। নির্দেশ পাওয়ার পর এদিন হলফনামা জমা দিয়ে তাঁদের বক্তব্য জানাল পরিবহণ দফতর। বেসরকারি ও সরকারি বাসে (Bus Fare) সর্বনিম্ন ৭ টাকা এবং মিনিবাসে সর্বনিম্ন ৮ টাকা করে ভাড়া নেওয়ার কথা জানিয়েছে রাজ্য। কয়েকদিন আগে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে হলফনামা জমা দেয় রাজ্য। সেখানেও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেছিল পরিবহণ দফতর। তারা জানিয়েছিল, ২০১৮ সালে যে ভাড়া স্থির করা হয়েছিল সেই ভাড়াই নেবে বাসগুলি। অতিরিক্ত ভাড়া নিলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। আদালতে পরিবহণ দফতরের বিশেষ সচিব জানান, অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠলে রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক এবং পরিবহণ দফতরের সব আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষকে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের জন্য সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা বা ফেয়ার চার্টও পাঠানো হয়েছে। মামলাকারীর উদ্দেশ্যে আদালত জানায়, হলফনামা অনুযায়ী গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। যদি মনে হয় নির্দেশ অমান্য করা হচ্ছে সেক্ষেত্রে আদালত অবমাননার মামলা করা যেতে পারে। জানুয়ারি মাসে মামলার পরবর্তী শুনানি।