সংবাদদাতা, হাওড়া, কাকদ্বীপ, এগরা : নিম্নচাপ আর তা থেকে দুর্যোগ কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। দুটো দিন ভাল কাটতে না কাটতেই আবার ঝেঁপে আসছে বৃষ্টি। তাই গ্রামীণ এলাকায় জল কমলেও ফের শনিবার থেকে বৃষ্টির আশঙ্কায় আতঙ্কে মানুষ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি প্রশাসন। তৈরি রাখা হয়েছে ত্রাণ শিবির। জনপ্রতিনিধিরা ঘুরে ঘুরে নজর রাখছেন। হাওড়ায় বেশ কিছু গ্রামের নিচু এলাকার মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ত্রিপল বিলি করা হচ্ছে। উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক বিডিওদের সঙ্গে এদিন বৈঠক করছেন। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারও দফায় দফায় বসেছেন। বৃহস্পতিবার সেইভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় অনেক জায়গা থেকেই জল নেমেছে। যদিও অধিকাংশ চাষের জমি জলের তলায়। প্রচুর ফসল নষ্ট হয়েছে। প্রশাসন থেকে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করছে। জেলাশাসক মুক্তা আর্য জানান, ‘‘পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। তবে শনিবার থেকে ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপের জেরে ফের প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেই কারণে আমরা সবরকমের ব্যবস্থা তৈরি রেখেছি।’
আরও পড়ুন :“দিদির দেওয়া রূপশ্রী পেয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছি”
বুধবার নবান্ন থেকে মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করে দিয়েছেন। সেই সতর্কবার্তা পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ মৎস্যবন্দরে মাইকে মৎস্যজীবী সংগঠনগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। শনি থেকে সোমবার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। জেলার সহ মৎস্য অধিকর্তা জয়ন্ত প্রধান জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেলের মধ্যে সমস্ত মৎস্যজীবীকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। জেলাশাসক পি উলগানাথন আধিকারিকদের নিয়ে আগাম বিপর্যয় মোকাবিলা সংক্রান্ত বৈঠক করেন। আজ জেলায় এনডিআরএফের টিম পৌঁছে যাবে। থাকবে সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা। প্রতিটি ব্লকে ত্রাণ মজুত করা হচ্ছে। শনিবার থেকে জেলার উপকূলের মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে।
এগরা বিধানসভার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। কয়েক হাজার মানুষ ত্রাণশিবিরে। কিছুদিন পর জলস্তর কমলেই কাঁচাবাড়িগুলি ভেঙে পড়বে। এমন আশঙ্কায় বানভাসিরা। শিবিরে শিবিরে ঘুরে মানুষের দুর্দশার কথা শুনলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। ত্রিপল ও শুকনো খাবার বিতরণ করলেন। দুর্গতদের আশ্বস্ত করেন।