প্রতিবেদন : বর্ষবরণ উৎসবকে কেন্দ্র করে গোটা বিশ্বেই যখন চলছে আতশবাজির প্রদর্শনী, ঠিক সে সময়ই ইউক্রেনের আকাশ চিরে আছড়ে পড়ছে একের পর এক আগুনের গোলা। এই আগুনের গোলা কোনও আতশবাজি নয়, এগুলি হল মারাত্মক রুশ মিসাইল। রবিবার রাত থেকেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ-সহ বিভিন্ন শহরে আছড়ে পড়েছে একাধিক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন। বিশ্ব জনমতকে উপেক্ষা করে নতুন বছরেও ধ্বংসের বার্তা দিলেন যুদ্ধবাজ পুতিন।
আরও পড়ুন-উৎসবের শহরে মহিলা কেপমারদের ধরল পুলিশ
হামলায় যথারীতি ইউক্রেনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইউক্রেনের সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, রুশদের দখলে থাকা দনেৎস্ক অঞ্চলে ওই ঘটনা ঘটেছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা স্বীকার করেছে সেখানকার রুশপন্থী প্রশাসনও। অন্যদিকে ইউক্রেনের পাল্টা দাবি, বর্ষবরণের রাতেই ৪০০ রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। কিয়েভের গভর্নর ওলেক্সি কুলেবা বলেছেন, পুতিন বাহিনী মূলত দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও জলবণ্টন ব্যবস্থার উপরেই নিশানা করেছে। ইউক্রেনের সাধারণ মানুষকে প্রবল শীতে ঠান্ডায় না খাইয়ে মেরে ফেলাই মস্কোর লক্ষ্য। শহরের মেয়র ভিতালি ক্লিশ্চকো বলেছেন, রুশ ড্রোনের আঘাতে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। কিয়েভে ভেঙে পড়া ইরানের তৈরি একাধিক কামিকাজে ড্রোনের উপর রুশ ভাষায় লেখা ছিল শুভ নববর্ষ। রুশ সেনার এই আচরণকে মানসিক বিকৃতি বলে দাবি করেন মেয়র।
আরও পড়ুন-ভারতীয়দের বিদেশে সুরক্ষা নারাজ সুপ্রিম কোর্ট
নববর্ষের রাতে পুতিন বাহিনীর এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন ইউক্রেনে থাকা আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ব্রিজেট ব্রিঙ্ক। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার এই আচরণই প্রমাণ করে তারা কাপুরুষ। ড্রোনের উপর শুভ নববর্ষ লিখে যেভাবে হামলা চালানো হয়েছে তা লজ্জাজনক, গর্হিত কাজ। রবিবারই দেশবাসীকে নববর্ষের বার্তায় ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, তাঁরা যুদ্ধের শেষ দেখে ছাড়বেন। জয় ছাড়া আর কিছুই ভাবছেন না।