প্রতিবেদন : প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়নে রাজ্য সরকার প্রায় ২০০০ নতুন চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্তরে জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে এই চিকিৎসকদের নিয়োগ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতরের পর্যালোচনা বৈঠকে গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর মান উন্নয়নের নির্দেশ দেন। সেখানে তিনি নতুন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপরেই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের তৎপরতা শুরু হয়।
আরও পড়ুন-পর্যটকদের টানছে ঝাড়গ্রামের প্রকৃতি, চিড়িয়াখানা
চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর মোট ৬ হাজার শূন্য পদ পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে সরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্সের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সরকারি হাসপাতালগুলিতে বর্তমানে ১২০০০ চিকিৎসক রয়েছেন। ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ওই সংখ্যা ছিল মাত্র সাড়ে চার হাজার। সরকারি হাসপাতালে নার্সের সংখ্যা ২০১১ সালের ৩৭ হাজার ৩৬৬ থেকে বের হয়েছে ৫৩ হাজার। দিগন্তে একবার ফের কোভিড আতঙ্কের সিঁদুরে মেঘ দেখা যাচ্ছে।
এমতাবস্থায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ফাঁকফোকর পূরণে আরও উদ্যোগী হয়েছে নবান্ন। এক বছরে বাংলার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ৫ হাজারেরও বেশি নিয়োগ করা হয়েছে, যার মধ্যে এক হাজারেরও চিকিৎসক রয়েছেন। রাজ্যে বর্তমানে নার্সিং শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০ হাজার ২৪২। বাংলায় এখন আশাকর্মীর সংখ্যা ৬৫ হাজার ৬২৪। ভবিষ্যতে আরও ১০ হাজার আশাকর্মী নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে এই নিয়োগ সম্পূর্ণ করা হবে। প্রায় ৭৪ হাজার আশাকর্মী নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। করোনা-ডেঙ্গির মতো জরুরি পরিস্থিতির মোকাবিলায় আগামী পাঁচ বছরে জেলায় জেলায় আরও স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ল্যাবরেটরি গড়ে তোলা হচ্ছে।