প্রতিবেদন : বিটেক পাশ করেছেন। চাকরিও পেয়েছিলেন গুজরাতের একটি সংস্থায়। কিন্তু যোগ্যতার তুলনায় মাইনে সামান্য। মাত্র ১২ হাজার। তাই আর চাকরির চেষ্টা না করে চায়ের দোকান করেন মালদহের কালিয়াচকের তরুণ আলমগীর খান। মালদহ টাউন স্টেশনের রাস্তায় একটি ভাড়া বাড়ির বারান্দায়।
আরও পড়ুন-উত্তরের একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল বিজ্ঞপ্তিতে বিপাকে যাত্রীরা
রবিবার বন্ধুদের ডেকে ফিতে কেটে ওই দোকানের উদ্বোধন করেন তিনি। আলমগীর ২০১৭ সালে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা কোর্স করেন। কলকাতার একটি বেসরকারি কারিগরি কলেজ থেকে ২০২১ সালে বিটেক পাশ করেন তিনি। তাঁর বাবা শাহেনশা খান ঢালাই মেশিন ভাড়া দিয়ে সংসার চালান। দোকানের উদ্বোধনের দিনই কেন্দ্র সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিলেন ওই তরুণ। বলেন, ‘‘আমরা পাঁচ ভাইবোন। অনেক কষ্ট করে আমাকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। চাকরি হবে না, সেটা বুঝতে পারছি। কেন্দ্রীয় সরকার বেকারত্ব নিয়ে উদাসীন, চাকরি নেই। বাড়িতে বয়স্ক মা-বাবা, ভাইবোনদের নিয়ে খাব কী? ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাউন্সেলিংয়ে গিয়ে চাকরি জুটেছে। কিন্তু মাইনে মাত্র দশ থেকে বারো হাজার টাকা। তাও গুজরাতে গিয়ে কাজ করতে হবে। নিজে খাব কী, আর বাড়িতেই বা কী পাঠাব? কেন্দ্রের মাথাব্যথা নেই বাংলাকে নিয়ে।”