আবাস যোজনায়(Abas Yojna) অনেকদিন ধরেই দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হচ্ছে বিরোধীদের তরফে। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিরোধীদের তোপ দাগলেন তৃণমূল(TMC) বিধায়ক তথা রাজ্যের দুই মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য(Chandrima Bhattacharya) ও পার্থ ভৌমিক(Partha Bhoumik)। এদিন তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে ধোঁয়া না তুলে, আবাস যোজনায় একটাও অনিয়ম হয়ে থাকলে প্রকাশ্যে আনুন। নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর সহ বলুন কোথায় দুর্নীতি হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসন ও দলের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-১০০ দিনের কাজের টাকা না দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য
আবাস যোজনা প্রকল্পে ৬০ শতাংশ কেন্দ্র দেয়, ৪০ শতাংশ রাজ্য দেয়।
রাজ্য সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে।
টাস্ক ফোর্স রয়েছে পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দফতরের সকলে এই কাজে করেন।
চারিদিকে ধোয়া তুলছে এই যোজনায় দুর্নীতির
১৮ সালের সার্ভেতে যারা ছিল তারা যদি এখন ছাদ পাকা করে সেটা খারাপ? নাকি ৫ বছর কেন্দ্র টাকা আটকে রাখল সেটা খারাপ?
২০১৮ সালের শর্ত কি ২০২৩ সালে পরিবর্তন হয়েছে?
একদিকে মোবাইল থাকলে আবাসে নাম থাকবে না, অথচ ডিজিটাল ইন্ডিয়ার গল্প করছে।
বাড়ি বাড়ি রান্নার গ্যাসের কথা বলছে আবার বাড়িতে রান্নার গ্যাস থাকলে আবাসে নাম থাকবে না। এটা দ্বিচারিতা ছাড়া কী?
নামের গেরোয় টাকা দেবে না এটা কোন আইনে বলে?
আমরা আবাস যোজনাকে গুরুত্ব দেই তাই ২ জানুয়ারি দিদির সুরক্ষা কবচে আবাস যোজনা অন্তর্ভুক্ত।
দুর্নীতিকে আমরা মদত দেই না। যদি কেউ দুর্নীতি করে তবে শাস্তি হবে।
কিন্তু কোনও প্রধানের পরিবারের কেউ যদি প্রাপক হয় তাহলে সে পাবে না এটা কী ধরনের কথা?
আরও পড়ুন-আবাস যোজনায় বাদ পড়েছে ১৭ লক্ষ নাম, ফের মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় বিরোধীরা
পার্থ ভৌমিক
সবাই দেখেছে কিভাবে বন্দে ভারত নিয়ে বাংলাকে অপদস্ত করা হয়েছিল
রাজ্য সভাপতি বলছেন জয় শ্রীরামের জন্য বন্দে ভারতে ঢিল ছোড়া হয়েছে আজ রেল স্পষ্ট করেছে এই ঘটনা বিহারের।
যে দলের রাজ্যসভাপতি এমন ফেক নিউজ ছড়ায় তাহলে সেই দলটার কী অবস্থা তা বোঝা যায়।
২০১৮ সালে যে সার্ভে হয়েছিল তাতে বাড়ি পায়নি
হঠাৎ ৩১ ডিসেম্বর জানানো হল ১ মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সমীক্ষা করে ১৭ লক্ষ নাম বাদ দেওয়া হল।
এরপর বলা হল মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে বাড়ি।
৩৯ লক্ষের মধ্যে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার বাড়ির বরাদ্দ করা হল, ২৮ লক্ষ এখনও বকেয়া
বিরোধী দলের নেতা লোকজনকে বলছেন নাম আমায় দিন। এটা কোন আইনে বলা হচ্ছে
সুকান্ত বললেন, আবাস যোজনার জন্য বিডিও অফিসে ঢিল মারুন।
তাহলে কি আমরা সুকান্ত শুভেন্দুর বাড়িতে বাড়ি না পাওয়া লোকগুলিকে পাঠিয়ে দেব।
বাংলার মানুষের কি এটাই অপরাধ যে বিজেপির বিজয় রথ এখানে থেমে গেছে।
অভিষেক সংসদে প্রশ্ন করেন তাঁর উত্তরে কেন্দ্র জানায়, সারা দেশে যা টাকা বকেয়া রয়েছে তার ৫০ শতাংশ বাংলার
আবাস যোজনায় ১ টা অনিয়ম যদি লোকসমক্ষে দেখাতে পারেন নাম ঠিকানা ফোন নম্বর দিন।
৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। ক্ষমতা থাকলে নাম বলুন যেখানে অনিয়ম হয়েছে।
যদি অনিয়ম ঘটে তবে সর্বস্তরে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৮ লক্ষ বাড়ি যদি কেন্দ্র না দেয় তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এই বাড়ি করে দেবেন।
আমরা টাকা দেব আর নিয়ম নীতি ওরা করে দিচ্ছে।
১৭ লক্ষ শ্রমিক ১০০ দিনের কাজ করেছে অথচ টাকা পাচ্ছে না।
২০২২ সালের মধ্যে সকলের বাড়িতে ছাদ করে দেবেন বলেছিলেন মোদি, তাহলে ২০২৩ সালেও কেন ২৮ লক্ষ বকেয়া বাংলায়
আরও পড়ুন-আবাস যোজনায় বাদ পড়েছে ১৭ লক্ষ নাম, ফের মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় বিরোধীরা
শুভেন্দুকে তোপ
অবৈধ কাজ যে করে সে জানে, আর যে পাহারা দেয় সে জানে।
শুভেন্দু তো পুলিশ নন সাংবাদিক নন। তাহলে উনি কীভাবে জানেন অবৈধ কাজের বিষয়ে?
তাহলে তৃণমূলে থাকাকালীন উনি কি টাকা তুলতেন?
পূর্ব মেদিনীপুরে ৩২৫৯৯৭ জনের নাম এসেছিল আবাস যোজনায়, ১২৫৩৮৮ জনের নাম বাতিল অর্থাৎ ৪১.৪৩ শতাংশ।
সবচেয়ে বেশি বাতিল হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। কে ছিল ২০১৮ সালে ওখানকার নেতা।
অধিকারী বাড়ি যাত্রা হাউস। যাত্রা শিল্প ধুঁকছিল মমতা বাঁচিয়েছেন। এবার ওটা উঠে যাবে, আবার কালিঘাটে আসতে হবে।
ক্ষমতা থাকলে অভিষেকের সঙ্গে ডিবেট করুন শুভেন্দু।
বাবাকে শাহাজানের মতো ঘরে আটকে রাখে। একাধারে ও ঔরঙ্গজেব একাধারে মীরজাফর।
ইতিহাস সাক্ষী আছে শাস্তি হবেই।