প্রতিবেদন : মন্ত্রী ও আদিবাসী নেত্রী বীরবাহা হাঁসদার ভয়েই নেতাই-মুখো হল না স্বঘোষিত বীরপুঙ্গব লোডশেডিং অধিকারী। নিজের জেলাতেই দিনভর ঘুরপাক খেল আরএসি বিরোধী দলনেতা৷ ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি নেতাইয়ে সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীর হাতে খুন হন মহিলা ও শিশু-সহ ১১ জন গ্রামবাসী। তারপর থেকে প্রতি বছরই শহিদ-স্মরণ অনুষ্ঠান করে তৃণমূল কংগ্রেস। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
আরও পড়ুন-সূর্য ওঠার আগেই শহিদ তর্পণে মানুষের ঢল
মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার নেতৃত্বে নেতাইয়ে শহিদ-স্মরণ হয়। কিন্তু আগে হুংকার দিলেও নেতাইয়ের ধারেকাছে ঘেঁষেনি শুভেন্দু। যদি কথামতো বীরবাহা হাঁসদা আটকে দেয়! মাসকয়েক আগে শুভেন্দু কদর্য ভাষায় বীরবাহাকে আক্রমণ করেছিল। ক্ষমা চাওয়ার সৌজন্যটুকুও দেখায়নি। এই ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয় আদিবাসী মহল। বীরবাহা সেদিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন, সাহস থাকলে ঝাড়গ্রাম-নেতাইয়ে ঢুকে দেখাক শুভেন্দু! তাই ঘোষণা করেও নেতাই-মুখো হয়নি। এদিন বিরবাহা বলেন, আজ এখানকার মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে শেষ কথা বলবে তৃণমূল কংগ্রেসই। তারা জানে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের পাশে আছেন। আর বিরোধী দলনেতা আজ আসার সাহস দেখাননি। আসলে বুঝতেন কত ধানে কত চাল। আমাকে আর দেবনাথ হাঁসদাকে উনি অনেক বাজে কথা বলেছেন। ছোট বলেছেন। শুধু এটুকু বলতে পারি, উনি লড়াইয়ের যে ময়দানে যখন বলবেন তখনই বুঝিয়ে দেব কার কত দম।
শনিবার তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত লালগড়ের নেতাই শহিদদিবসের সভা লোকে-লোকারণ্য। মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, বাম আমলে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের ৫২ হাজার কর্মী-সমর্থককে খুন করা হয়েছে। নন্দীগ্রামের পর নেতাই। মেদিনীপুর শুধু রক্ত দিয়েছে। জঙ্গলমহলের মানুষের খাদ্য ছিল না। নিরাপত্তা ছিল না। কাজ ছিল না। পানীয় জল ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংগ্রামের রাস্তা দেখান। তাঁর হাত ধরেই এখানে উন্নয়ন হয়েছে। মানস ভুঁইয়া মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে নেতাইকে আত্মবলিদান স্থান হিসাবে চিহ্নিত করার পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে ছিলেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, বিধায়ক দুলাল মুর্মু, অজিত ভুঁইয়া, দীনেন রায়, বিধায়ক ডাঃ খগেন্দ্রনাথ মাহাত, বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা, প্রসূন ষড়ঙ্গীরা।