প্রতিবেদন : কলকাতা পুলিশের এসটিএফের জালে আরও এক সন্দেহভাজন জঙ্গি। এবারে মধ্যপ্রদেশ থেকে। হাওড়ায় ধৃত ২ জঙ্গিকে জেরায় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মধ্যপ্রদেশে রওনা দিয়েছিল কলকাতা পুলিশের টাস্কফোর্সের একটি বিশেষ টিম। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে আচমকা অভিযান চালায় খাণ্ডোয়া জেলার এক ডেরায়। গ্রেফতার করে আব্দুল রাকিব কুরেশি নামে এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে। বয়স আনুমানিক ৩০। উদ্ধার করা হয়েছে একটি মোবাইল ফোন এবং একটি পেনড্রাইভ। ধৃত যুবককে মঙ্গলবার পেশ করা হয়েছে স্থানীয় আদালতে। তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতার আনার জন্য চাওয়া হয়েছে অনুমতি।
আরও পড়ুন-শহরে যত্রতত্র জঞ্জাল ফেললে জরিমানা পুরসভার
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের কাছে থেকে এমন কিছু জিনিস এবং নথিপত্র মিলেছে, যাতে তার জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগের পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অন্তত সেই সম্ভাবনাই প্রবল বলে মনে হয়েছে। লক্ষণীয়, শনিবার কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্কফোর্সের জালে পড়ে হাওড়ার বাসিন্দা ২ সন্দেহভাজন জঙ্গি সাদ্দাম এবং সইদ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, সঠিক সময়ে এই দু’জন গ্রেফতার হওয়ায় রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে একটি নৃশংস খুনের ঘটনা। কারণ, বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও একজনকে খুনের ফন্দি এঁটেছিল সাদ্দাম। কিন্তু টার্গেট নিয়ে তখনও পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সে।
আরও পড়ুন-বিজেপির ভ্রান্তনীতির জবাব দেবে বাংলার মানুষ
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তদন্তকারীরা সাদ্দামের বাড়ি থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছেন, যাতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে আইএস নামে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেওয়ার শপথবাক্য পাঠ করেছিল সে। সেই শপথবাক্য কে পাঠ করিয়েছিল তাও জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। আরবিও শিখছিল সাদ্দাম। এখান থেকে বাছাই করা যুবকদের বিদেশে আইএস প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঠানোর পরিকল্পনা রূপায়ণের দায়িত্ব ছিল তার। তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছিল সৌদি আরব, সিরিয়া সহ পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে। পুলিশ এবং গোয়েন্দাদের নজর এড়াতে কিছু ভুয়ো সংস্থাও খোলা হয়েছিল। তদন্তের আরও গভীরে পৌঁছতে কয়েকটি বিশেষ টিম তৈরি করে বিভিন্ন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্কফোর্সের গোয়েন্দারা।