প্রতিবেদন : কাল অসমে দেখেছেন বিজেপির পুলিশের সন্ত্রাস। মৃত মানুষের উপর নাচছে, মারছে। এটার নাম মানবিকতা! সরকার কার? বিজেপির। আর আজ দিল্লিতে কী দেখলেন? কোর্টের মধ্যে ঢুকে বিচারপ্রার্থী গ্যাংস্টারকে আর এক দল খুন করে দিল। কাদের পুলিশ? বিজেপির পুলিশ। কেন্দ্রের পুলিশ। অমিত শাহর পুলিশ। ব্যর্থ বিজেপি সরকার আঙুল তুলছে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। লজ্জা হওয়া উচিত। বাংলায় এসে দেখে যাক এসব কিছু হয় না। আর বিহার, উত্তরপ্রদেশের মতো যেসব রাজ্যে এসব ঘটনা ঘটে, তাদের নেতারাই প্রশ্ন তোলেন কোন সাহসে।
শম্ভনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটের সভা থেকে কেন্দ্রকে এক হাত নিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, এজেন্সি অস্ত্র দিয়ে ভোট করছে বিজেপি। যে দল সৎ তাদের বারবার ডাকা হচ্ছে। ৩৪ বছর সিপিএম শাসন করেছে। কতগুলো সিবিআই করেছে? ওরা বারবার আমাকে আঘাত করতে চেয়েছে। প্রথমে শারীরিকভাবে। তারপর মানসিকভাবে। কিন্তু প্রাণ থাকতে কিছুতেই মাথা নত করবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন সরকারের টিকাকরণের সাফল্যের কথা মানুষের কাছে তুলে ধরেন। বলেন, দেশে টিকাকরণে বাংলা প্রথম। এবার ছোটদের টিকাকরণ নিয়ে ভাবা হচ্ছে। ভবানীপুরে ১০০ শতাংশ টিকাকরণ হয়েছে। রাজ্যে সাড়ে পাঁচ কোটি।
আরও পড়ুন-মহালয়া থেকে “ফুড সেফটি ড্রাইভ” শুরু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা
এদিন ফের কৃষকদের পক্ষে সওয়াল করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিনটি কৃষক বিল বাতিল করার কথা বলা হচ্ছে কিন্তু কানেই নিচ্ছে না কেন্দ্র। নোটবন্দি নিয়েও কোনও জবাব নেই। কাল দেখলাম কেন্দ্র বলছে পিএম কেয়ার্স ফান্ডের অডিট হবে না। কেন? মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের যদি হয় তাহলে এক্ষেত্রে নয় কেন। একটা অগণতান্ত্রিক, স্বৈরাচারী মানসিকতা নিয়ে চলে বিজেপি। দেখছি গ্যাসমন্ত্রী প্রচারে এসেছেন গ্যাস দিতে। পেট্রোলের দাম বাড়ছে, গ্যাসের দাম বাড়ছে। অথচ এদের কোনও মানবিকতাই নেই। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তাই করে না। তাই ভবানীপুরে একটা ভোটও নষ্ট না করে জবাব দিন কেন্দ্রকে। আর তৈরি হোন শেষ জবাব দিতে ২৪শের ভোটে।