বিশ্বভারতীর উপাচার্যর কাজ নিয়ে বারবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রবীণ আশ্রমিক থেকে শাসকদলের নেতৃত্ব, অধ্যাপক, পড়ুয়ারা। এবার বিশ্বভারতীর উপাচার্য (Vice-Chancellor) বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর (Bidyut Chakraborty) বিরুদ্ধে সরব হলেন বিখ্যাত মার্কিন ভাষাবিজ্ঞানী নোয়াম চমস্কি (Noam Chomsky), নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) কন্যা অন্তরা দেব সেন (Antara Sen)। ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২৬১ জন শিক্ষাবিদ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূকে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে চিঠি লেখেন। অনলাইনে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে স্বাক্ষর অভিযানে সই করেছেন অমর্ত্য-কন্যা অন্তরাও।
৪ বছর উপাচার্য হিসেবে একাধিক অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, পড়ুয়াকে সাসপেন্ড, বরখাস্ত করেছেন বিদ্যুৎ। এমনকী বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের দিকে ঢিল ছুড়তে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে বারবার ছাত্র বিক্ষোভ উত্তাল হয়েছে বিশ্বভারতী চত্বর। দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববিদ্য়ালয়ে অনৈতিক কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকী, খোদ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীও নাকি বিভিন্ন বেনিয়মের সঙ্গে যুক্ত। যাঁরা প্রতিবাদ করছেন, প্রতিহিংসা নিতে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি! ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা, দোলোৎসবে পড়েছে কোপ।
আরও পড়ুন-স্বামী বিবেকানন্দের ১৬০-তম জন্মবার্ষিকী, শ্রদ্ধা নিবেদন মুখ্যমন্ত্রীর
তাঁর ভূমিকা বিজেপি নেতার মতো বলে আক্রমণ করেছে রাজ্যের শাসকদল। এর আগে, বিশ্বভারতীতে নিয়োগে বেনিয়মে অভিযোগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী চিঠি দিয়েছিলেন অর্থনীতির বিভাগের সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। বিষয়টি উপাচার্যের নজরেও এনেছিলেন তিনি। তারপর? তদন্ত নয়, উলটে অভিযোগকারীকেই সাসপেন্ড করে দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই সাসপেশনকে অবৈধ বলে দাবি করে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপের দাবি করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা। নোয়াম চমস্কি ছাড়াও স্বাক্ষর করার তালিকায় রয়েছেন অমিত বাগচী, সবুজকলি সেন, সুনন্দ সেন, হরবংশ মুখিয়া, জয়তী ঘোষ, নিবেদিতা মেনন-সহ ২৬১জন দেশ-বিদেশের শিক্ষাবিদ।