প্রতিবেদন : এবারের গঙ্গাসাগর (Gangasagar- Control Room- Nabanna) মেলায় রেকর্ড ভিড়ের পূর্বাভাস মিলেছে। প্রতিদিন সাগরসঙ্গমে বাড়ছে পুণ্যর্থীর সংখ্যা। সেদিকে তাকিয়ে প্রশাসনের অনুমান, এবারের পৌষ সংক্রান্তি পর্যন্ত ৪০ লক্ষের বেশি মানুষ সাগরসঙ্গমে ডুব দেবেন। সেইমতো নজিরবিহীন নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে মেলাপ্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকাকে। এবার গোটা গঙ্গাসাগর বন্দি নবান্নের মেগা কন্ট্রোল রুমের নজরদারিতে। সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে গঙ্গাসাগর মেলায় নজরদারি চালানো হচ্ছে রাজ্যের সচিবালয় থেকে। পুণ্যার্থীদের যাতায়াত থেকে শুরু করে মেলাপ্রাঙ্গণের হাল-হকিকত সবকিছুই সরাসরি দেখছেন নবান্নের (Gangasagar- Control Room- Nabanna) উচ্চপর্যায়ের আধিকারিকরা। ভিড়ের উপর নজর রাখতে মেলার বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এক হাজারেরও বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে মেলা চত্বরজুড়ে। সঙ্গে রাখা হয়েছে ড্রোন। আর তার ছবি যেমন ম্যানার কন্ট্রোল রুমে দেখতে পাচ্ছেন সরকারি আধিকারিকরা, ঠিক তার একটা ফিডও পাঠানো হচ্ছে নবান্নে। ইতিমধ্যেই নবান্নে ফিড পাঠানোর কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনের খবর, নবান্নে ফিড পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে ১০ জানুয়ারি থেকে। আগামী ১৫ জানুয়ারি মকরসংক্রান্তি। ওইদিন সাগর দ্বীপে সবচেয়ে বেশি ভিড় হবে। এজন্য যাত্রীদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তাই সিসিটিভি ক্যামেরায় ছেয়ে গেছে গঙ্গাসাগর মেলার মাঠ। অনেক ড্রোন থেকে নজরদারি চলছে। কপিলমুনির আশ্রমের সামনে সিসিটিভি বসানো হয়েছে। প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছ থেকে জানা গেছে, গঙ্গাসাগর মেলায় তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য প্রায় ১১০০ সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ২০টি ড্রোন ক্যামেরা উড়ছে এবং সেগুলো জিপিএস দিয়ে সজ্জিত। এই ক্যামেরা দিয়ে তীর্থযাত্রীদের মনিটরিং করা হচ্ছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে গঙ্গাসাগর ট্রানজিট পয়েন্টের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশের পক্ষ থেকে সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-করোনা মোকাবিলায় ৯২ হাসপাতাল