গুয়াহাটি : অসমের দরং জেলায় বৃহস্পতিবারের পুলিশি বর্বরতা ঘটনা নিয়ে গোটা দেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে। তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুক্রবার তিনি বলেন, পুলিশ গুলি চালাচ্ছে, মৃতদেহের উপরে উঠে নাচছে, এই তো বিজেপি রাজ্যের নমুনা! অসম পুলিশের নির্মমতার নিন্দা করেছে তৃণমূল, আপ, কংগ্রেস-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি৷
আরও পড়ুন-১৪৪ ধারার অপব্যবহার, তৃণমূলকে বাধা, অথচ সভা করছে শাসকদল
প্রসঙ্গত, দরং জেলার পুলিশ সুপার হলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার ভাই সুশান্ত বিশ্বশর্মা। তৃণমূল কংগ্রেস অবিলম্বে এই পুলিশ সুপারকে সাসপেন্ড করার দাবি তুলেছে। অন্যদিকে, যথারীতি নিজের ভাইকে বাঁচাতে আসরে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী। হিমন্তের দাবি, পুলিশ আত্মরক্ষার জন্যই ওখানে গুলি চালিয়েছিল। বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতেই ছিল ধারালো অস্ত্র। তবে এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে৷
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দরং জেলার ঢোলপুরের গরুখুঁটিতে বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছিল অসম পুলিশ। অথচ হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল করোনা পরিস্থিতির মধ্যে উচ্ছেদ বন্ধ রাখতে৷ প্রশাসনের সাফাই, জবরদখলকারীরা পুলিশকে বাধা দেয় বলেই গুলি ছুঁড়তে হয়েছে৷ পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় দুই প্রতিবাদকারীর। বহু মানুষ জখম হন।
আরও পড়ুন-ভুল চুল কাটার খেসারত ২ কোটি
বৈদ্যুতিন মাধ্যমে অসম পুলিশের নির্মমতা দেখে চমকে উঠেছে গোটা দেশ। বেগতিক দেখে ঘটনায় সাম্প্রদায়িক রং লাগাতে অসমের বিজেপি সাংসদ দিলীপ শইকিয়া দায় চাপিয়েছেন পপুলার ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠনের উপর। বৃহস্পতিবারের ঘটনার প্রতিবাদে অল অসম মাইনরিটি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন শুক্রবার রাজ্যে ১২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক দেয়। এদিন সংগঠনের ছাত্ররা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে। বিরোধী দল কংগ্রেসও দরং জেলায় এদিন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল অসমের ঘটনার নিন্দা করেছেন। ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, পুলিশের গুলি খেয়ে এক ব্যক্তি যখন মাটিতে লুটিয়ে পড়ছেন তখন তাঁর উপর লাফিয়ে পড়ে এলোপাথাড়ি লাথি–চড়–ঘুসি চালাচ্ছে কাঁধে ক্যামেরা ঝোলানো এক ব্যক্তি৷ জানা গিয়েছে, ওই ক্যামেরাম্যানকে নিয়োগ করেছিল স্থানীয় প্রশাসন৷ পৈশাচিক হামলা চালানো যুবকের নাম বিজয়শংকর বানিয়া৷ চাপে পড়ে এদিন তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷